বিশ্বভারতীর উপাচার্য নিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই একাধিক বার বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে একাধিক অভিযোগ। এমনকী হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। এবার নাম না করে অনুব্রত মন্ডলকে ‘বাহুবলী’ আখ্যা দিয়ে ফের বিতর্কে জড়িয়েছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এবার তাঁকে পাল্টা দিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি। উপাচার্যের ‘বাহুবলী’-মন্তব্যের পর অনুব্রতর চ্যালেঞ্জ, ক্ষমতা থাকলে তাঁর নাম করে বলুন। সেই সঙ্গে উপাচার্যকে ফের ‘পাগল’ বলে আক্রমণ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে আগেও একাধিক বার আক্রমণ করেছেন অনুব্রত। উপাচার্যের বিরুদ্ধে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্র-সংস্কৃতি নষ্ট করার অভিযোগ তুলেছেন। সেই সঙ্গে তাঁকে ‘পাগল’ বলেও সম্বোধন করেছেন। শুক্রবার ফের বিদ্যুতের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অনুব্রত। যদিও এ বার প্রেক্ষাপটে ছিল বিদ্যুতের বেফাঁস মন্তব্য। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর সমস্ত ভবনের অধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধান এবং আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে অনুব্রতের নাম না করে তাঁকে ‘বাহুবলী’ বলে কটাক্ষ করেন উপাচার্য।
শুক্রবার এ নিয়ে তাঁকে আক্রমণ করে অনুব্রত বলেন, ‘(উপাচার্য) আমার নাম করে কিছু বলেননি। ক্ষমতা থাকলে নাম করে বলুন। আমি নাম করে বলছি, বিশ্বভারতীর ভিসি (উপাচার্য) পাগল।’ এখানেই না থেমে উপাচার্যকে তাঁর কটাক্ষ, ‘ওঁর মাথার ঠিক নেই, তাই উল্টোপাল্টা কথা বলেন।’ অনুব্রতর হুঁশিয়ারি, ‘কলেজ বন্ধ। এক বার কলেজ খুলুক। ছাত্ররা ওঁকে বুঝিয়ে দেবেন।’ উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীতে রবীন্দ্র-ঐতিহ্য নষ্টের অভিযোগও করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘বিশ্বভারতীতে এমন একটা লোককে উপাচার্য করে পাঠানো হয়েছে, যাঁর কোনও যোগ্যতা নেই। এই ভিসি আসার পর রবীন্দ্রনাথের আদর্শ, স্বপ্ন সব শেষ হয়ে গেল। বিশ্বভারতী জঞ্জালে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। (উপাচার্য) অধ্যাপক, আধিকারিকদের সাসপেন্ড করছেন, এটা পাগল ছাড়া হয়!’