আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। যেখানে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন খোদ দলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার ফলেই এই ভোটের উত্তাপ ছড়িয়ে গিয়েছে ভবানীপুর ছাড়িয়ে গোটা রাজ্যেই। এমনকী এই উপনির্বাচনের ফলের দিকে তাকিয়ে ১৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নন্দীগ্রামও। যেখানে দুই হাজারেরও কম ভোটে পরাজিত হয়েই মুখ্যমন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে আরও একবার রণাঙ্গনে অবতীর্ণ হতে হচ্ছে মমতাকে। শাসক দল যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিশ্চিত এই মর্মে আত্মবিশ্বাসে অটুট তখন শাপমুক্তি চাইছে নন্দীগ্রামও।
গত ১০ মার্চ সারা দেশের সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছিল বিরুলিয়া বাজার। সেখানেই আহত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর পায়ে চোট নিয়ে গোটা ভোট পর্বটা তাঁকে হুইলচেয়ার এই ঘুরতে হয়েছিল। সেদিন মুখ্যমন্ত্রীকে ছুটে গিয়ে বরফ দিয়েছিলেন যে মিষ্টির দোকানদার, তিনি বলেন, ‘এখানে যেভাবে তিনি আহত হয়েছিলেন তার জন্য আজও আমি দুঃখিত। উনি আমাদের বিধায়ক হলে আজ আমরা অনেক বেশি লাভবান হতাম। আমরা নিতান্তই সাধারণ মানুষ কিন্তু আমাদের আশা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেকর্ড মার্জিনে জিতবে।’ সেদিনের আরেক প্রত্যক্ষদর্শী পুলিন দোলুইও বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা দিদিকে আমাদের বিধায়িকা হিসেবে পেলাম না। তবে তিনি যে এবার সব রেকর্ড ভেঙে ফেলবে সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত।’
আবার বড়চিড়া হাই স্কুলের কাছে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে সরকারি সুবিধা নিতে লাইন দেওয়া এক নন্দীগ্রামবাসীর বক্তব্য, ‘হয়তো তিনি হেরেছেন কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গেই আছেন। এই কারণেই এই সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি। প্রত্যেকে শুভেচ্ছা জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর নতুন লড়াইয়ের জন্য।’ নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট সুফিয়ানও বলেন, ‘এ ঘটনা আমাদের লজ্জা কিন্তু ভবানীপুরে আমরা প্রতিশোধ নেব তারা আসলে অর্থ আর পেশী শক্তি ব্যবহার করেছিল ওরা নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করেছিল ভিপি প্যাট জালিয়াতিও করেছে।’ নির্বাচনের দিন বয়ালের সাত নম্বর বুথে ধর্না দিয়েছিলেন মমতা। সেখানকার তৃণমূল নেতা মানিক আলি শাহর সাফ কথা, ‘আমরা জানি দিদিকে ফেরাবে ভবানীপুরই।’