আসন্ন ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফল্য নিয়ে আশাবাদী রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। “পৃথিবীর কোনও শক্তি নেই ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকাবে!” শনিবার তারাপীঠে সুব্রত। তিনি বলেন, “মায়ের আশীর্বাদে ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষাধিক ভোটে জয়ী হবেন। পৃথিবীর কোনও শক্তি নেই তাঁকে আটকাবে।” এদিন দুপুরে সস্ত্রীক তারাপীঠ আসেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তারাপীঠে এসেই প্রথমে তারা মায়ের মন্দিরে পুজো দেন মন্ত্রী। পরে মন্দির চত্বরে দাঁড়িয়েই ভবানীপুর উপ-নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের ব্যাপারে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত জানিয়ে তৃণমূলের প্রবীণ নেতা বলেন, “মায়ের কাছে বাংলার উন্নয়ন, ভারতবাসীর উন্নয়নের জন্য প্রার্থনা করলাম। যে সমস্ত দুর্যোগ আসছে তার থেকে বাংলাকে সুরক্ষা দেওয়ার প্রার্থনা জানালাম।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচিতি নিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের জবাব দিতে ভোলেলনি সুব্রত। বলেন, “উনি (দিলীপ ঘোষ) অবান্তর কথা বলছেন। এই মুহূর্তে রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমান্তরাল আর কেউ নেই।” তৃণমূল সরকারকে চাপে ফেলতে কেন্দ্র সিবিআইকে কাজে লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “ওরা সিবিআইকে, ওমুক-তমুককে ব্যবহার করছে। এটা চলবে।” অন্যদিকে, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির ইস্তফা দেওয়া প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সংক্ষিপ্ত জবাব, “উনি বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন।” এদিন বিকেলে রামপুরহাট সেচপল্লি সার্কিট হাউসে জেলা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মূলত জেলার উন্নয়ন নিয়েই আলোচনা করেন মন্ত্রী। তারপর বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বীরভূম জেলায় উন্নয়নের খতিয়ান দেন সুব্রতবাবু।
পঞ্চায়েত দফতরের কাজ বীরভূমে সাফল্যের সঙ্গে হয়েছে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “বাংলা আবাস যোজনায় যত বাড়ি দিয়েছিলাম এই জেলা সেগুলি সম্পূর্ণ করেছে। সামান্য কিছু বাকি থাকলে জেলাশাসক বলেছেন, তিনি তদারকি করে অবিলম্বে কাজ সম্পূর্ণ করবেন। এই জেলায় পঞ্চায়েত দফতরের কাজ সাফল্যের সঙ্গে হয়েছে। তবে এখনই সন্তুষ্ট নন পঞ্চায়েত মন্ত্রী। তিনি বলেন, আগে এই জেলা পিছিয়ে ছিল। এখন গ্রামীণ অনেক উন্নত হয়েছে। রাস্তার কাজ হয়েছে। যদি আরও কোথাও কিছু করার থাকে তাহলে আমরা করে দেব। জেলায় আরও অগ্রগতি করার করা বলেছি।” এদিন সার্কিট হাউসে পঞ্চায়েত মন্ত্রীর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য গ্রামীণ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা, জেলা পরিষদের মেন্টর রানা সিং, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী, জেলাশাসক বিধান রায় সহ জেলার পঞ্চায়েত আধিকারিকেরা।