বরাবরই সৌজন্যতার রাজনীতিতে বিশ্বাসী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ত্রিপুরায় সৌজন্যতার নজির গড়ল তাঁর দল। বুধবার উদয়পুরে বামে কর্মীরা গেরুয়া বাহিনীকে পাল্টা জবাব দেওয়ার পরেই বিকেলে সিপিএমের একাধিক পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। রাতেই সেইসব পার্টি অফিস ঘুরে দেখেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। সিপিএম রাজ্য দফতরে গিয়ে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন মমতার সৈনিকরা।
প্রসঙ্গত, গতকাল সিপিএমের রাজ্য দফতর, পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা দফতরে আগুন লাগানোর পাশাপাশি এদিন দুটি সংবাদ মাধ্যমের অফিসেও আগুন লাগানো হয়েছে। ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ। রাতে সেই সমস্ত জায়গা পরিদর্শনে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। আগরতলার তৃণমূল নেতাদের পাশাপাশি ওই দলে ছিলেন বাংলায় তৃণমূলের প্রাক্তন ছাত্র নেত্রী জয়া দত্তও। সিপিএম রাজ্য দফতরে গিয়ে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
জয়া বলেন, আজকে ত্রিপুরার মাটিতে যে বীভৎস ঘটনা বিজেপি ঘটিয়েছে তা সকলেই দেখেছেন। আমরা তৃণমূলের পক্ষ থেকে দুটি সংবাদ মাধ্যমের দফতর পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম। পাশেই সিপিএমের পার্টি অফিস। তাই সেখানেও আমরা যাই। আমরা সমবেদনা জানিয়েছি। তৃণমূল চায় ত্রিপুরার মাটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে।’ সিপিএম দফতরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের যাওয়া নিয়ে প্রবীণ সিপিএম নেতা পবিত্র কর বলেন, গণতন্ত্রে তো এটাই কাম্য। যে একজনের পাশে আরেকজন দাঁড়াবে।