এর আগে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা থেকে বেরিয়ে গিয়ে হরকা বাহাদুর ছেত্রী তৈরি করেছিলেন নতুন দল – জন আন্দোলন পার্টি। এবার সেই পথেই হাঁটলেন অনীত থাপা। যার ফলে অবশেষে ভেঙে খানখান হয়ে গেল বিমল গুরুংদের তৈরি পাহাড়ের জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।
গুরুংপন্থী এবং বিনয়পন্থী মোর্চা তৈরি হয়েও শেষমেশ দ্বন্দ্ব মিটিয়ে এক হয়ে গিয়েছিলেন বিমল গুরুং, বিনয় তামাং। সেদিন থেকেই দূরত্ব বাড়ছিল তাঁদেরই একদা সহকর্মী তথা জিটিএ-র প্রেসিডেন্ট অনীত থাপার সঙ্গে। আশঙ্কা হচ্ছিল, তিনি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা থেকে বেরিয়ে নতুন দল গড়তে পারেন। বৃহস্পতিবার সেটাই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে করে ফেললেন। অনীত থাপার তৈরি নতুন দলের নাম ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা বা বিজিপিএম। গুরুং, তামাংদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দলের মাথায় বসলেন অনীত থাপা নিজেই। যদিও তাঁর নতুন দলকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না বিনয় তামাং, বিমল গুরুংরা।
দার্জিলিংয়ের হিলকার্ট রোডে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার অফিস। তাদের পতাকার রং হলুদ, ধূসর, লালচে। পতাকায় রয়েছে – হিমালয় পর্বত, তিস্তার নীল জল, চা পাতা আর পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী অস্ত্র খুকরি। জানা গিয়েছে, অনীত থাপার নতুন দলে মোট ৬০ জনের কেন্দ্রীয় কমিটি তৈরি হয়েছে। এদিকে, প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার জন্মের পর তবে পাহাড়ের রাজনীতি কোন পথে এগোবে? এই প্রশ্নই এখন উঁকি দিচ্ছে পাহাড়বাসীর মনে।