মঙ্গলবার রাতেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানিয়ে দিয়েছেন ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিচ্ছেন না দল। এমনটাই সিদ্ধান্ত কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের। কিন্তু কোনও রাজ্যে দলের কৌশল কী হবে, তা প্রদেশ কংগ্রেস নেতারাই ঠিক করবেন। হাইকম্যান্ড সেখানে নাক গলাবে না। এমনই নীতি নিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তাঁর এই নীতির জন্যই ২০১৯-এর লোকসভা বা ২০২১-এর বিধানসভায় কংগ্রেস নেতৃত্ব তৃণমূলের সঙ্গে জোটের চেষ্টা করেনি। তাই ভবানীপুরের উপনির্বাচনে অধীর চৌধুরীদের প্রার্থী দিতে নিষেধ করে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড সেই নীতি থেকে সরে এল বলেই মনে করছেন কংগ্রেস নেতারা।
এআইসিসি-র এক নেতা বলেন, ‘প্রয়াত আহমেদ প্যাটেল মনে করতেন, বাংলায় বামেদের শক্তি ফুরিয়ে এসেছে। তাদের সঙ্গে জোট না করে জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে তৃণমূলের সঙ্গেই জোট করা উচিত কংগ্রেসের। কিন্তু রাহুল গান্ধী বরাবরই তা নাকচ করে দিয়েছেন। কারণ, প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা তৃণমূলের সঙ্গে জোট চাননি। এবারই প্রথম হাইকম্যান্ড রাজ্যের নেতাদের প্রস্তাব নাকচ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভবানীপুরে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল।’
কংগ্রেস সূত্রের খবর, এই সিদ্ধান্তের পিছনে কমলনাথের মতো সোনিয়া গান্ধীর আস্থাভাজন নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রয়াত প্যাটেলের মতো তাঁদেরও মত, বাংলায় সিপিএমের সঙ্গে জোট করে কংগ্রেসের লাভ হচ্ছে না। এই প্রবীণ নেতাদের অনেকেই মমতা কংগ্রেসে থাকার সময় তাঁর সঙ্গে কাজ করেছেন। সেদিক থেকেও তাঁরা তৃণমূল নেত্রীকে পাশে রাখার পক্ষে। এদিকে, মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্তকে কংগ্রেস নেতারা সোনিয়া গান্ধীর ‘রাজনৈতিক বুদ্ধিমত্তার প্রমাণ’ বলেও দাবি করছেন। তাঁদের যুক্তি, কংগ্রেস নেতৃত্ব মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী না দিয়ে বার্তা দিলেন, তাঁরা বিজেপি বিরোধী জোট চাইছেন। সে জন্য মমতাকে তাঁর মাঠে জায়গা ছেড়ে দিতেও কংগ্রেস তৈরি।