ত্রিপুরায় যাওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এমনকী তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়েও হামলার অভিযোগ উঠেছে। তবে শুধু তৃণমূল নয়, হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে বামেদেরও। সম্প্রতি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের কনভয়েও হামলা চলে। এবার ত্রিপুরার উদয়পুরে সিপিএম-বিজেপি সংঘর্ষের খবর মিলেছে। উদয়পুরে একাধিক বাড়ি-দোকানে হামলা চলেছে বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয় পুলিশকে। অন্যদিকে ত্রিপুরার বিশালগড়ে সিপিএমের পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। হামলা চালানো হয়েছে সিপিআইএমের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যের বাড়িতেও।
ঘটনার পর সিপিএমের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারের সঙ্গে দেখা করেন দুই তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও সুস্মিতা দেব। সিপিএম পার্টি অফিসে গিয়েই তাঁদের পাশে দাঁড়ান তৃণমূল নেতারা। মুকুল রায়ের একাধিক তৃণমূল নেতা ট্যুইটারে গর্জে উঠেছেন। এমনকী এমন ঘটনার পরও জাতীয় নির্বাচন কমিশন কোথায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেতারা। এর আগে ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর হামলার ঘটনার নিন্দা করেছিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারও। গত সোমবার তাঁরই কনভয়ের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পরই এলাকায় দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। শেষমেশ বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছিল। নিজের কেন্দ্র ধনপুরে যাওয়ার পথেই মানিক সরকারের কনভয়ে হামলা চলেছিল। এর দুদিন পরেই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল ত্রিপুরা। ত্রিপুরায় বিজেপির এই নক্কারজনক আক্রমণের প্রতিবাদ করে টুইট করেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।