একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর তারপরেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শুরু হয়েছে অন্যান্য রাজ্যের সংগঠন বৃদ্ধির চেষ্টা। ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে ২০২৩ সালে। আর সেই ভোটকে ‘পাখির চোখ’ করেই বিপ্লব দেবের রাজ্যে সংগঠন তৈরি এবং প্রসারে নজর দিয়েছে দল। আর তা করতে গিয়ে সুস্মিতা দেবের ওপরে অনেকটাই ভরসা রাখছে তারা। সাংগঠনিক কাজে আজ তাঁকে পাঠানো হল ত্রিপুরায়। সারাদিন একাধিক কর্মসূচী আছে সুস্মিতার।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষমোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা দেব। তিনি নিজেও শিলচর থেকে কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন। কিন্তু সোনিয়া গান্ধীর দল ছেড়ে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে যোগ দেন। যেহেতু তৃণমূল নতুন করে উত্তর-পূর্বে সংগঠন বানাতে যাচ্ছে, হতে পারে সুস্মিতাকে অসম ও ত্রিপুরার দায়িত্ব দেবে, এবং তাই হয়েছে। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর এবার প্রথমবারের জন্য সুস্মিতা পা রাখলেন ত্রিপুরায়। শিলচর থেকে ট্রেনে আগরতলায় এসেছেন তিনি। সুস্মিতা জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় তৃণমূলের ভিত মজবুত করতে আগামী কয়েকমাস অভিযান চালাবেন তাঁরা।
প্রয়াত সন্তোষমোহন দেব ছিলেন শিলচরের অবিসংবাদী নেতা। তাঁর রাজনীতির একটা বড় সময় জুড়ে ছিল ত্রিপুরাও। সুস্মিতা যখন খুব ছোট তখন থেকেই বাবার হাত ধরে ত্রিপুরা, আসামের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতেন। ত্রিপুরার সম্পর্কে সুস্মিতার সম্যক ধারণা রয়েছে। যেহেতু তৃণমূল এখন ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করেছে তাই মনে করা হচ্ছে সুস্মিতাকে ত্রিপুরারই একজন হিসেবে তুলে ধরতেই এই প্রচার কর্মসূচীর আয়োজন করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। আজ একাধিক কর্মসূচী রয়েছে সুস্মিতার। প্রথমে তিনি যাবেন ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে, সেখানে পুজো দিয়ে ফিরবেন আগরতলায়। সেখানে হোটেল তিনি একটি সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। তারপরে এক মৃত শিক্ষকের বাড়িতে সমবেদনা জানাতে যাবেন।