করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখন অনেকটাই স্তিমিত। রাজ্য সরকারের জারি করা কড়া বিধিনিষেধের জেরে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ৫ কেন্দ্রের উপনির্বাচন এবং ২ কেন্দ্রের সাধারণ নির্বাচন পুজোর আগেই করার দাবি জানাল নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে এই দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বুধবার দুপুরে ১৭টি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। শুধু বাংলা নয়, অন্যান্য রাজ্যের কাছেও উপনির্বাচন নিয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়। সূত্রের খবর, অধিকাংশ রাজ্যই দ্রুত উপনির্বাচন করার পক্ষে সায় দিয়েছে। আর তাতেই আশা দেখছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, বুধবার উপনির্বাচন নিয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গেও বৈঠক করেন কমিশনের কর্তারা। সেখানে এখনই নির্বাচনের পক্ষে মত দেন বাংলাত মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বুধবার দফায় দফায় কমিশনের বৈঠককে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে রাজ্যের শাসকদল। কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলাদা করে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রায় ১ ঘণ্টার আলোচনার পর মুখ্যসচিবের তরফে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, রাজ্যে উপনির্বাচন করতে হলে সেপ্টেম্বরই আদর্শ সময়।
রাজ্যে এখনই উপনির্বাচন করার পক্ষে বেশ কয়েকটি যুক্তিও দিয়েছেন মুখ্যসচিব। তিনি জানিয়েছেন, যে আসনগুলিতে উপনির্বাচন হওয়ার কথা সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ শতাংশেরও কম। তাছাড়া এই মুহূর্তে রাজ্যের পজিটিভিটি রেট দেড় শতাংশের আশেপাশে। গোটা দেশের তুলনায় এই মুহূর্তে রাজ্যের অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা গোটা দেশের ২ শতাংশেরও কম। তাছাড়া, ভোটের কাজে যুক্ত সব আধিকারিকদের ইতিমধ্যেই টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। অর্থাৎ এই মুহূর্তে ভোট হলে করোনার তেমন ভয় নেই। তাছাড়া, অক্টোবরে রাজ্যে পুজোর ছুটি। বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকবে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরও। সুতরাং ভোট করার উপযুক্ত সময় সেপ্টেম্বরই।