আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন শুরু হওয়ার পর থেকেই সেদেশে মহিলা ক্রিকেট দলের ভবিষ্যৎ রীতিমতো নিশ্চয়তা। আর কখনও মাঠে নামতে পারবেন কি না, তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন মহিলা ক্রিকেটারেরা। তাই আইসিসির কাছে ই-মেল মারফত তাঁরা জানতে চান, আফগানিস্তানের মহিলা ক্রিকেট দলের সুরক্ষার কথা ভেবে কোনও পদক্ষেপ আইসিসি করবে কি না। সেই ই-মেলের জবাব এখনও পাওয়া যায়নি। অন্য দিকে আইসিসি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা কোনও রকম বার্তা পাননি আফগানিস্তানের মহিলা ক্রিকেট দলের সদস্যদের কাছ থেকে।
প্রসঙ্গত, কাবুলে তালিবানি শাসন শুরু হওয়ার পরে ক্রিকেটার রোয়া সামিম তাঁর পরিবার নিয়ে উড়ে গিয়েছেন কানাডায়। বাকিরাও যেন তাঁর মতো সুরক্ষিত থাকতে পারেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে আইসিসি-কে ই-মেল করেছিলেন তিনি। মোট ২৫ জন মহিলা ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি করেছিল আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তাঁদের ভবিষ্যৎ কী, কারও জানা নেই। তাই আইসিসির কাছে এ বিষয়ে জানতে চান সামিম। ইংল্যান্ডের এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “কাবুলে তালিবানি শাসন শুরু হওয়ার পরে আইসিসিকে ই-মেল করে বলা হয়েছিল, তারা যেন আমাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার চেষ্টা করে। লেখা হয়েছিল, আমাদের বাঁচান। দেশের অনেক মহিলা ক্রিকেট খেলতে চান। তাঁদের এ বার কী হবে?” যোগ করেন, “এ বিষয়ে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও সে ভাবে সহযোগিতা করেনি। আমাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। নিশ্চিত কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়নি এখনও।”
পাশাপাশি সামিম আরও বলেছেন, “বেশ কয়েকটি ই-মেল করা হয় আইসিসি-কে। আজ পর্যন্ত একটিও জবাব পাওয়া যায়নি। বোঝাই যাচ্ছে না, আইসিসি বলে কোনও সংস্থা এই পৃথিবীতে আছে কি না।” আইসিসি অন্য দিকে জানিয়ে দিয়েছে, তাদের কাছে এখনও পর্যন্ত কোনও ই-মেল আসেনি। তা ছাড়া আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে ভালই যোগাযোগ রয়েছে তাদের। এখনও পর্যন্ত সব রকম সাহায্য করা হৃয়েছে নিয়মের মধ্যে থেকে। মহিলা ক্রিকেট দল যদি বন্ধ করে দেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারে এসিবি-ও। আইসিসি-র সদস্যপদ হারাতে পারে তারা।
রশিদ খান ও মহম্মদ নবির পদক্ষেপে যদিও খুশি সামিম। বলেছেন, “প্রত্যেক দিন গণমাধ্যমে ওরা সাহায্য চাইছে। যতটা সম্ভব চেষ্টা তো করছে। কিন্তু আইসিসি-র এই আচরণে আমি সত্যি অবাক।” অন্য দিকে, পুরুষদের দলকে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলার জন্য অনুমতি দিল তালিবান। বুধবার আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সিইও হামিদ শিনওয়ারি বলেছেন, “অস্ট্রেলিয়ায় দল পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ক্রিকেটে কোনও বাধা দিতে চায় না তারা।” হোবার্টে ২৭শে নভেম্বর থেকে ১লা ডিসেম্বর পর্যন্ত একমাত্র টেস্ট খেলতে যাবে আফগানিস্তান। তার জন্য নভেম্বরের শুরুর দিকেই দল পাঠাতে হবে আফগান ক্রিকেট বোর্ডকে।