এবার খোলনলচে বদলাতে চলেছে শহরের দুই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার। সড়কপথে কলকাতার দুই লাইফলাইন রেড রোড ও ভিআইপি রোডের পরিবর্তন তৈরি হবে মসৃণ রাজপথ। বিদেশের আধুনিক প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হবে এই কাজে। ব্যয় হবে ৬০ কোটি টাকা। বাসন্তী হাইওয়ের ধারে চৌবাগার কাছে জার্মানির প্রযুক্তিতে গড়ে উঠছে অত্যাধুনিক ম্যাস্টিক অ্যাসফল্টের প্লান্ট। সেটি তৈরি হয়ে গেলে শহরের অন্যান্য রাস্তাও হয়ে উঠবে আরও গতিময়। ভিআইপি রোড ঝাঁ চকচকে হলে, বিমানবন্দর থেকে সহজেই শহরে প্রবেশ করতে পারবেন অতিথি-অভ্যাগতরা। আর ঐতিহ্যশালী রেড রোড হয়ে উঠবে সফরের অন্যতম সড়ক। যা সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় হেড কোয়ার্টারের দুয়ারও বটে।
উল্লেখ্য দু’টি রাস্তা দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে পূর্তদপ্তর। এই দপ্তর সূত্রেই জানা গিয়েছে, প্রায় আট বছর হাত পড়েনি রেড রোডে। রাস্তার মসৃণভাব আর আগের মতো নেই। ছোটখাট গর্ত বা পিচের ঢেউয়ের উপর দিয়ে গাড়ি ছুটলে কখনও কখনও ঝাঁকুনি খেতে হয় যাত্রীদের। আধুনিক প্রযুক্তির কোল্ড মিক্স দিয়ে তৈরি হবে এই রাস্তা। এর জন্য জার্মানি থেকে আনা হচ্ছে বিশেষ মেশিন। একই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে তৈরি হবে ভিআইপি রোডও। বাংলায় এই প্রথম এমন পদ্ধতিতে রাস্তা তৈরি হবে বলে পূর্তদপ্তর সূত্রে খবর।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দু’টি রাস্তার মেয়াদই শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন নতুন করে তৈরি করার সময় এসেছে। পূর্তদপ্তর ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডেকেছে। যে যন্ত্রের মাধ্যমে এই রাস্তা দু’টি সংস্কারের চিন্তাভাবনা করা হয়েছে, সেটির দাম ২০ কোটি টাকা। আনা হবে জার্মানি থেকে। সম্ভবত এই যন্ত্র বসবে চৌবাগার কাছে কিংবা নোনাপুকুরে কেএমডিএ’র জমিতে। এই ধরনের যন্ত্রের উপর ভরসা করেই বিভিন্ন রাস্তা তৈরি হয় ইউরোপের নানা দেশে। হট মিক্সের পরিবর্তে কোল্ড মিক্স দিয়েই তৈরি হবে এই দু’টি রাস্তা। তার আগে বর্তমান রাস্তার উপরিভাগ চেঁচে তুলে ফেলা হবে। তার উপরে ঢালা হবে কোল্ড মিক্স। এভাবেই তৈরি হবে দীর্ঘস্থায়ী মসৃণ রাস্তা, বলছেন পূর্তদপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা।