তেজস্ক্রিয় ক্যালিফোর্নিয়াম স্টোন নয়, কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উদ্ধার হওয়া সামগ্রী আদতে অন্য কোনও ধাতু। সোমবার সিআইডি’কে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের পক্ষ থেকে। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়াম স্টোন পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল হুগলির ২ জন বাসিন্দাকে। পরমাণু বোমা তৈরি করার অন্যতম উপকরণ ক্যালিফোর্নিয়াম স্টোন। রেডিও অ্যাক্টিভ এই এলিমেন্টের ১ গ্রামের দামই ১৭ কোটি টাকা। সিআইডি’র কাছে খবর ছিল বহুমূল্য এই পরমাণু বোমা তৈরি উপকরণ পাচারের ছক কষছে হুগলির দুই বাসিন্দা। সেই মতো বিমানবন্দরে নজর রাখা হয়েছিল। তারপরই শৈলেন কর্মকার ও অসিত ঘোষ নামের দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সামগ্রী ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সমস্ত কিছু দেখেশুনে রিসার্চ সেন্টারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, উদ্ধার হওয়া সামগ্রী ক্যালিফোর্নিয়াম স্টোন নয়। রিসার্চ সেন্টারের পাওয়া এই তথ্যের পরই মনে করা হচ্ছে, কাউকে ঠকানোর জন্যই সাধারণ ধাতুকে ক্যালিফোর্নিয়াম স্টোন সাজিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল শৈলেন ও অসিত। এই ঘটনায় আরও কে বা কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টাও করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে বিমানবন্দর চত্বর বেশ ঘটনাবহুল ছিল। হুগলির দুই বাসিন্দা ছাড়াও সাইফুদ্দিন মিঞা নামের এক শার্প শুটারকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ, কিছুদিন আগেই মাইসুরুতে এক ব্যক্তিকে খুন করে সাইফুদ্দিন। গা ঢাকা দিতে কলকাতায় পা রাখতে এসেছিল। মালদহে দেশের বাড়িতে তার গা ঢাকা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার মুখেই সাইফুদ্দিনকে ধরে ফেলে কলকাতা বিমানবন্দর থানার পুলিশ।