একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর তারপরেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শুরু হয়েছে অন্যান্য রাজ্যের সংগঠন বৃদ্ধির চেষ্টা। ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে ২০২৩ সালে। আর সেই ভোটকে ‘পাখির চোখ’ করেই বিপ্লব দেবের রাজ্যে সংগঠন তৈরি এবং প্রসারে নজর দিয়েছে দল।একের পর এক কর্মসূচির পাশাপাশি এবার বিপ্লব দেব সরকারের ব্যর্থতাকে প্রচারের আলোয় তুলে আনতে চায় তারা। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপুরায় বিজেপি শাসিত সরকারের দুর্নীতি ও ব্যর্থতার তালিকা তৈরি করছে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই তালিকার প্রথমেই রয়েছে ত্রিপুরায় বেকারত্বের বিষয়টি। তৃণমূলের দাবি, সারা দেশের নিরিখে বেকারত্বের হারে ত্রিপুরা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। বেকারত্ব ঘোচাতে ত্রিপুরায় যুবকদের কর্মসংস্থান দিতে যে বিজেপি সরকার ব্যর্থ হয়েছে, তা যেমন তৃণমূল প্রচারে তুলে ধরবে, তেমনই ত্রিপুরায় সরকারি কাজে ভিনরাজ্যের বাসিন্দাদের সুযোগ দেওয়ার বিষয়টিও তুলে আনা হবে।
সম্প্রতি সে রাজ্যের গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের জন্য চাকরির পরীক্ষা হয় ত্রিপুরায়। প্রায় ১৩ হাজার শূন্য পদে নিয়োগের জন্য এই পরীক্ষা হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, এক্ষেত্রে বাইরের রাজ্যের পরীক্ষার্থীদের অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে বিপ্লব দেব সরকার। এমনটা করে ত্রিপুরার ভূমিপুত্রদের সরকারি কাজ পাওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল। পাশাপাশি, একটি প্রকল্প নির্মাণে বাইরের রাজ্যের সংস্থার হয়ে ত্রিপুরা সরকার গ্যারেন্টার হয়েছে বলেও দাবি করেছে তৃণমূল। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন অভিযোগ করেছেন, বাইরের রাজ্যের একটি নির্মাণ সংস্থা আগারতলার আখাউড়া চেকপোস্টের কাছে একটি প্রকল্পের কাজ করছে। এক্ষেত্রে ত্রিপুরা সরকার একটি বেসরকারি সংস্থার হয়ে ব্যাঙ্কে গ্যারেন্টার হয়েছে। ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল সভাপতি আশিসলাল সিংহ বলেন, ‘বামফ্রন্টের বিকল্প হিসেবে স্বপ্ন দেখিয়ে বিজেপি ত্রিপুরায় ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু বিকল্প উপায়ে রাজ্যের উন্নয়ন দূর অস্ত। সরকার দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে। আমরা মনে করি ত্রিপুরাবাসীকে সেই সব দুর্নীতি ও ব্যর্থতার কথা জানানো প্রয়োজন।’