রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি আয়ত্তে এলেও এখনও জারি রয়েছে কড়া বিধিনিষেধ। বন্ধ লোকাল ট্রেন। এই পরিস্থিতিতে কিছু স্পেশাল ট্রেন চললেও তাতে ওঠার সুযোগ পাচ্ছেন না সবজি বিক্রেতারা। ফলে জেলা থেকে সবজি কলকাতায় আনা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে, ফলে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এদিকে সড়ক পথে সবজি আনার ফলে বাড়ছে দামও। সেই কারণেই সব দিক বিবেচনা করে এবার কৃষক স্পেশ্যাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিল রেল। চলতি বছরের শুরুতে করোনা বেশ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। কিন্তু মার্চের শেষ থেকে বাড়তে থাকে সংক্রমণ।
নিয়মিত প্রায় ১৬ হাজার মানুষ সংক্রমিত হচ্ছিল। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই পরিস্থিতি মোকাবিলায় লোকাল ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে স্পেশ্যাল ট্রেনে ওঠার অনুমতি পেয়েছেন বেশ কিছু পেশায় যুক্তরা। কিন্তু ট্রেনের সংখ্যা কম থাকায় তাতে যাতায়াত কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। জরুরি পরিষেবায় যুক্তরাও উঠে পড়ছেন ভেন্ডারে। ফলে সবজি নিয়ে সেখানে উঠতে পারছিলেন না কৃষকরা।
করোনা পরিস্থিতিতে কমবেশি সকলেই আর্থিক সমস্যায়। এদিকে রেলপথের পরিবর্তে সড়ক পথে সবজি আসায় বাড়ছিল বাজার দর। ফলে মাথায় হাত পড়েছিল আমজনতার। রেলের এই সিদ্ধান্তে খানিকটা সস্তায় মিলবে সবজি, রেলের মতোই আশাবাদী আমজনতা।
জানা গিয়েছে, সেই কারণেই কৃষক স্পেশ্যাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত। বর্তমানে পূর্ব রেলের তরফে শিয়ালদহ শাখায় নিয়মিত দুটি ট্রেন চালানো হচ্ছে। একটি সকালে গেদে থেকে সবজি নিয়ে পৌঁছয় শিয়ালদহ। ওই ট্রেনটিই ফিরে যায় শান্তিপুরে। সেখান থেকে ছানা নিয়ে ফের শিয়ালদহ ফেরে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র কৃষকদের জন্যই এই ট্রেন। এতে থাকছে মাত্র ৫ টি বগি। সূত্রের খবর, শীঘ্রই ডায়মন্ড হারবার শাখাতেও চালু হবে এই কৃষক স্পেশ্যাল ট্রেন।