বর্তমান সময়ে রাজ্যে উপনির্বাচন চাইছে না বিজেপি। অন্তত আটদফা কারণ দেখিয়ে এই মর্মে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি পাঠাল তারা। তাঁদের পালটা দাবি, যে ৮ কেন্দ্রে উপনির্বাচন আছে, সেসব জায়গার করোনা পরিস্থিতি মোটেই ভাল নয়। তাই এখনই উপনির্বাচন হওয়া এখনই সম্ভব নয়। আর তৃণমূলের যুক্তি ঠিক উলটো। দ্রুত উপনির্বাচনের দাবিতে তৃণমূল নেতৃত্ব আবারও জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে জানিয়েছেন, আপাতত রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তাই এখনই ভোট করানো হোক। তবে যাই হোক না কেন, বিজেপির এই চিঠির পিছনে অন্য কারণ দেখছে রাজনৈতিক মহল। এদিন বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার প্রবণতা ক্রমাগত বাড়ছে ইদানিংকালে। জেলাগুলি থেকে এমনই গোপন রিপোর্ট জমা পড়ল বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের কাছে। যা গেরুয়াশিবিরের চূড়ান্ত মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। কোন জেলায় কতজন বিজেপি কর্মী ইতিমধ্যে তৃণমূলে চলে গিয়েছেন, সেই তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ।
উল্লেখ্য, বুধবার হেস্টিংসে দলের সাংগঠনিক বৈঠক বসেছিল। সেখানে এই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া দলীয় সদস্যদের বিস্তারিত তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বকে। সূত্রের খবর, তৃণমূল থেকে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া কর্মীদের বেশিরভাগই আবার তৃণমূলে ফিরে গিয়েছে। বারাকপুর, বসিরহাট সাংগঠনিক জেলায় এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। বুধবার বিজেপি হেস্টিংস অফিসে সংগঠনিক বৈঠকে প্রথমার্ধে ছিল বারাকপুর, বনগাঁ, বসিরহাট ও বারাসত সাংগঠনিক জেলা। বিকেল থেকে হাওড়া ও হুগলী-সহ একাধিক সাংগঠনিক জেলার বৈঠক চলছে। এ রাজ্যের একুশের ভোটে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল পায়নি গেরুয়াশিবির। তাই তারপর থেকে দলের অনেক সদস্যই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। যা রীতিমতো দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে দলের অন্দরে।