অতিসম্প্রতি বিজেপি বিরোধী ফ্রন্ট গঠনে তৎপর হয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। ১৫টি বিরোধী দলের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন তিনি। সেই বৈঠকে ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এবার ২০২৪-এর ভোটের আগে বিরোধী জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে মুখ খুললেন কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে। রাজ্যসভায় কংগ্রেস দলনেতা এবং গান্ধি পরিবার ঘনিষ্ঠ খাড়গে বলেন, “আগামী নির্বাচন আমরা একজোট হয়েই লড়ব।” তিনি বলেন, “সদ্যসমাপ্ত বাদল অধিবেশনে ১৫টি বিরোধী দলের লক্ষ্য ছিল ইস্যুগুলোকে সরকারের সামনে তুলে ধরা। মৌলিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা রক্ষায় আমরা সরব ছিলাম।”
পাশাপাশি পেগাসাস প্রশ্নে তিনি বলেন, “গুপ্তচরবৃত্তি থেকে কেউ রেহাই পায়নি। সেনা, বিরোধী দল এবং সংবাদমাধ্যম। চার ইস্যুকে সংসদে সতেজ করতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তার মধ্যে কৃষি আইন, মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং করোনা মোকাবিলা ছিল অন্যতম ইস্যু। আমরা বারবার এই ইস্যুতে আলোচনা চেয়ে নোটিশ দিলেও, সরকারপক্ষ তা খারিজ করে দিয়েছে।” খাড়গের অভিযোগ, “পেগাসাস প্রসঙ্গে সরব হয়ে আমরা যখন বলেছিলাম মৌলিক অধিকার খর্ব হচ্ছে, তখন সরকার বলেছিল, গোলমাল পাকিয়ে নাকি সংসদের কাজ ব্যাহত করা হচ্ছে।” এদিকে, একগুঁয়েমি সরিয়ে রেখে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে সকলকে এক হয়ে লড়াই করার আহ্বান জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
শুক্রবার সোনিয়া গান্ধীর ডাকে ১৯টি বিরোধী দলের প্রধানদের বৈঠক হয়। সেখানেই বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী জোট নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন তিনি। জানান, ইগো ও ব্যক্তিগত স্বার্থকে দূরে সরিয়ে রেখে সকলকে জোটবদ্ধ হয়ে গেরুয়া শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হবে। তাঁর বার্তা, কংগ্রেসের সঙ্গে যাঁদের যোগাযোগ নেই তাঁদেরও বিরোধী জোটে শামিল হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে হবে। উল্লেখ্য, এই বৈঠকে পরিকল্পিতভাবে বিরোধী জোট পোক্ত করার ডাক দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে কার্যত সেই পরিকল্পনা কীভাবে বাস্তবের মুখ দেখবে তার পথ বাতলেছেন। যা জাতীয়স্তরে বিরোধী রাজনীতিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।