বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের যে হিড়িক তৈরি হয়েছিল তা অব্যাহত এখনও। তৃণমূল ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত চন্দ্রকোনা পৌরসভা এলাকায় এক অনুষ্ঠানে সি পি এম ও বিজেপি দল ছেড়ে ৫০০ নেতা ও কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তাদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন চন্দ্রকোনা টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ সাঁতরা, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী সহ তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃত্বরা।
শুক্রবার চন্দ্রকোনা পৌরসভার কয়েকজন সিপিএম দলের প্রাক্তন কাউন্সিলার ও বিজেপির কয়েকজন নেতৃত্ব সহ প্রায় দুই শতাধিক সিপিএম ও বিজেপির কর্মী সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তাদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের চন্দ্রকোনা টাউন কমিটির সভাপতি প্রদীপ সাঁতরা বলেন, “যারা সিপিএম ও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন দলের পক্ষ থেকে তাদের সকলকে স্বাগত জানাই।
তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে চন্দ্রকোনা টাউন পৌরসভা এলাকায় বিজেপি ও সিপিএম এর কোন অস্তিত্বই থাকবে না। মানুষ শান্তি ও উন্নয়নের জন্য সিপিএম ও বিজেপি দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে।” তিনি তৃণমূলে যোগ দেওয়া সকল কে তৃণমূল কংগ্রেসকে শক্তিশালী করে তোলার জন্য কাজ করার নির্দেশ দেন।
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “চন্দ্রকোনা পৌরসভার উন্নয়নে তৃণমূল কংগ্রেস যে কাজ করেছে তা এর আগে কোনও দিন হয়নি এবং আগামী দিনে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি তথা চন্দ্রকোনা পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য সৌরভ চক্রবর্তী বলেন তৃণমূল কংগ্রেসকে অনেকেই ধ্বংস করার চক্রান্ত শুরু করেছিল।
কিন্তু তারা নিজেরাই এখন ধবংস হয়ে যাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস আগামী দিনে সারা দেশকে পথ দেখাবে। বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সারা ভারতবর্ষে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। উন্নয়নের কাজ হবে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সিপিএম-তৃণমূল ছেড়ে বহু মানুষ যোগদান করছেন।