লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে প্রতারণা রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই মতো তৎপর বিধায়ক-মন্ত্রীরাও। ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে হানা দিয়ে এবার প্রতারককে হাতেনাতে পাকড়াও করলেন শিলিগুড়ির পুরপ্রশাসক গৌতম দেব। কলার ধরে তাকে শিবির থেকে বের করে দেওয়া হয়। অভিযুক্তকে পুলিশের হাতেও তুলে দেওয়া হয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল? শিলিগুড়ির বেশ কয়েকটি জায়গায় ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প খোলা হয়েছে। সেখানেই প্রতিদিন বাড়ির মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদনের জন্য ফর্ম তুলতে যাচ্ছেন। শিউমঙ্গল মেমোরিয়াল হিন্দি হাইস্কুলের ছবিও একইরকম। তবে ওই ক্যাম্পেই ঘটল বিপত্তি। অভিযোগ, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম পূরণের জন্য এক যুবক টাকা নিচ্ছিল। শিবির পরিদর্শন করতে গিয়ে তাকে হাতেনাতে ধরেন শিলিগুড়ির পুরপ্রশাসক গৌতম দেব।
কলার ধরে ওই যুবককে শিবির থেকে বের করে দেন তিনি। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে। এ প্রসঙ্গে গৌতম দেব বলেন, “বৃষ্টিতে ভিজে ভিজেই একের পর এক দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ঘুরে বেড়াচ্ছি। তা সত্ত্বেও এই ধরনের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। যুবকের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” উল্লেখ্য, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মহিলাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ঢুকবে।
সাধারণ বা জেনারেল মহিলারা পাবেন ৫০০ টাকা। তফশিলি জাতি ও উপজাতি এবং আদিবাসী মহিলারা পাবেন প্রতি মাসে ১০০০ টাকা। রাজ্যের ২৫ থেকে ৬০ বছরের মহিলারা এই টাকা পাবেন। শুধু সরকারি চাকুরিরতা এবং পেনশন প্রাপকরা এই পরিষেবা পাবেন না। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে টাকা অ্যাকাউন্টে ঢোকার কথা।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেতে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে আবেদন করতে হবে। সে কারণে ক্যাম্পে ক্যাম্পে মহিলাদের ভিড়ে অনেক সময় বিশৃঙ্খলাও তৈরি হয়েছে। তবে বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাড়াহুড়ো না করার বার্তা দিয়েছেন। প্রয়োজনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হবে বলেও আশ্বাস তাঁর।