এএফসি কাপে এটিকে মোহনবাগান নামছে ১৮ আগস্ট। হাবাস-বাহিনীর সামনে আবার বেঙ্গালুরু এফসি। এটিকে মোহনবাগানের চেনা প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু। গতকাল বেঙ্গালুরু ১-০ গোলে হারিয়েছে ঈগলসকে। বেঙ্গালুরুর হয়ে গোল করেছেন জয়েশ রানে। আর এই ম্যাচে জয়ের ফলেই এটিকে মোহনবাগানের সামনে তারা। কারণ বেঙ্গালুরু-ঈগলস ম্যাচে যারা জিতত তাদের সঙ্গে খেলতে হত কলকাতার দলটিকে। বেঙ্গালুরু জেতায় হাবাস-ব্রিগেডের সামনে এখন এটিকে মোহনবাগান।
আইএসএল-এ আগেও মুখোমুখি হয়েছে দুই প্রতিপক্ষ। ফলে একে অপরের শক্তি সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। যদিও দুটো দলেই বেশ কয়েকটি পরিবর্তন হয়েছে। তবে মূল দল একই রয়ে গিয়েছে। ১৮ আগস্টের ম্যাচের জন্য তৈরি হচ্ছে এটিকে মোহনবাগান। ২১ সদস্যের দল নিয়ে মলদ্বীপে সবুজ-মেরুন। ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
যে কোনও টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ সব সময়তেই কঠিন হয়। বিচক্ষণ কোচ হাবাস তা জানেন। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের তাৎপর্য কী, তা ভালই জানেন তিনি। তাই ছেলেদের বলেছেন, “আমরা আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলতে নামছি। তোমাদের প্রত্যেককে কঠিন পরিশ্রম করতে হবে। নিজেদের সেরাটা দিতে হবে।”
এএফসি কাপের জন্য প্রায় দু’সপ্তাহের বেশিরভাগটাই রুদ্ধদ্বার অনুশীলন করেছে এটিকে মোহনবাগান। পজিশনাল ফুটবল, পাসিং এবং পেনাল্টি কিকের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে অনুশীলনে। কোচ হাবাস যেমন মানসিক দিক থেকে তৈরি, তেমনই দলের সদস্যরা। রয় কৃষ্ণর মতো গোলস্কোরার বলেছেন, “প্রথমবার এএফসি কাপ খেলবো। এই সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে। আমরা ভাল করব বলেই আশাবাদী। পরের রাউন্ডে যাওয়াই আমাদের প্রথম লক্ষ্য।”
এবার অমরিন্দর সিংকে সই করিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। এএফসি কাপ খেলার অভিজ্ঞতা তাঁর রয়েছে। অমরিন্দর বলছেন, “আমি দু’ বার এএফসি কাপে খেলেছি। এক বার রানার্স আপ হয়েছিলাম। এবার যাচ্ছি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য।” এখানেই হাবাসের ম্যাজিক। গোটা দল বলতে গেলে ফুটছে। দলটাকে একই সুরে বেঁধে ফেলেছেন অভিজ্ঞ কোচ অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাস।
মুম্বই সিটি থেকে এবার এটিকে মোহনবাগানে এসেছেন হুগো বুমোস। ম্যাচের বল গড়ানোর আগে তিনি উত্তেজিত। বুমোস বলেছেন, “ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের জার্সি পরে একটা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলতে নামব। এটা ভেবেই আমি রোমাঞ্চিত। প্রথম ম্যাচ সব সময়েই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জিতলে পরের পর্বের দিকে এগনো সহজ হবে।”