‘খেলা হবে দিবস’ আজ। তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, এবার গোটা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পালিত হবে খেলা হবে দিবস। সেই অনুযায়ীই বাংলা তো বটেই, বিজেপি শাসিত গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ ও ত্রিপুরার মতো রাজ্যেও রাজনৈতিক বীজ বপনে খেলা হবে দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৃণমূল।
মোদীর রাজ্যেও ফুটবল ম্যাচ হবে, হই হই করে পালিত হবে খেলা হবে দিবস। একরকম মন প্রস্তুত করেই ফেলেছে তৃণমূল। কিন্তু শেষমুহূর্তে যে স্কুলে ম্যাচ হওয়ার কথা, সেই স্কুল কর্তৃপক্ষ মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিতে রাজি না হওয়ায় গুজরাতে অতান্তরে তৃণমূল ব্রিগেড। যদিও এর মধ্যে কদর্য রাজনীতি দেখছে ঘাসফুল শিবির। অপরদিকে, যোগী রাজ্যের লখনৌতে খেলা হবে দিবস পালনের অনুমতি এখনও পর্যন্ত মেলেনি। চিঠি পৌঁছে গিয়েছে পুলিশ সুপার বা জেলাশাসকের কাছে। কিন্তু এখনও নিরুত্তর সব পক্ষই। তবে, এই অনুমতি না পাওয়াকেই আপাতত রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। এদিন খেলা হবে দিবসের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেওয়া হবে ফুটবলেও।
খেলা হবে দিবস এবার পালন হবে বাংলার বাইরেও। বাংলার পড়শি রাজ্য ত্রিপুরাতেও খেলা হবে দিবস পালন করবেন সেখানকার তৃণমূল সমর্থক-কর্মীরা। আজ আগরতলার এক মাঠে হবে খেলা দিবস পালন।
২১-এর বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের ট্যাগলাইন ছিল ‘খেলা হবে’। এই স্লোগানকে ঘিরে তৈরি হয়ে গিয়েছে জনপ্রিয় গান। বাংলার পাশাপাশি, এবার ত্রিপুরাতেও বাজতে শুরু করেছে ‘খেলা হবে’ গান। এই স্লোগান এখন ভারতীয় রাজনীতির জনপ্রিয় স্লোগান হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ মুখ্যমন্ত্রী এই স্লোগানকে সামনে রেখেই সরকারি ভাবে খেলা হবে দিবস পালন করবে। প্রতি বছর ১৬ অগস্ট পালন হবে খেলা হবে দিবস। এই বিশেষ দিনটি পরিচিত রাজ্যবাসীর কাছে ফুটবলপ্রেমী দিবস হিসাবে৷ আর এই দিনেই পালন হবে উৎসব। গ্রাম বাংলার মহিলাদের হাতে তৈরি ফুটবলেই খেলা হবে দিবস পালন করবে রাজ্য সরকার। বাংলার সেই ফুটবল পৌঁছে গিয়েছে ত্রিপুরার মাটিতেও। ফলে খেলা হবে নিছক কোনও খেলা নয়, বরং তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মসূচিই হতে চলেছে।