করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার ফের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এবার মুক্তি দেওয়া হবে মোট ৭৩ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তকে। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে সিদ্ধান্তের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের মধ্যে ৬৬ জন পুরুষ এবং বাকি ৭ জন মহিলা। পুরুষ বন্দিরা প্রত্যেকেই ৬০ বছরের বেশি বয়সি। মহিলারা ৭৫ বছরের ঊর্ধ্বে।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণে লাগাম টানার প্রথম শর্তই হল শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা। তাই এক জায়গায় বেশি বন্দী রাখার নিয়ম বর্তমানে নেই। তার ওপর আবার ক্রিমিনাল প্রসিডিওর কোড ১৯৭৩-এর ৪৩২ নম্বর ধারানুযায়ী অন্তত ১৪ বছর জেলের সাজা খেটে নেওয়ার পর কাউকে ছাড়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে। এই দু’টি বিষয় মাথায় রেখে গত ২ আগস্ট মোট ৬৩ জন বন্দীকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। তাঁদের মধ্যে ৬১ জন পুরুষ এবং ২ জন মহিলা। পুরুষরা প্রত্যেকেই ৬০ বছরের বেশি। মহিলারা ৫৫ বছরের বেশি বয়সি ছিলেন।
রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল, বন্দীদের বয়স, ভাল ব্যবহার এবং করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই ৬৩ জন বন্দিকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত। জীবনের শেষ কটা বছর যাতে তাঁরা পরিজনদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন তাই মানবিকভাবেও খানিকটা বিষয়টি ভাবা হয়েছে। মানবিকতার পাশাপাশি আইনের দিকে খেয়াল রাখা হয়েছে। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হয়। তার ঠিক দশদিনের মাথায় আবারও ৭৩ জন বন্দীকে মুক্তির মানবিক সিদ্ধান্ত নিল মমতা সরকার।