তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলেকে খুনের অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল মুর্শিদাবাদের কান্দিতে। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা যাতে না ছড়ায় সেই কারণে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
মৃত যুবকের নাম রাজিবুর রহমান। বয়স ৩৩ বছর। কুমারষন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহাদুরপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। ওই যুবকের মা পঞ্চায়েতের প্রধান তানজিলা বিবি। জানা গিয়েছে, প্রতিদিনই রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে বের হতেন রাজিবুর। রাতে পোলট্রি ফার্ম দেখাশোনা করে সকালে ফিরত বাড়ি।
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজিবুলের নেতৃত্বে কুমারষন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রচুর ভোটে লিড পায় তৃণমূল। সেই কারণে অনেকেই ওই যুবকের উপর ক্ষিপ্ত ছিল। প্রাথমিকভাবে অনুমান, সেই ক্ষোভের কারণেই পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে ওই যুবককে। জানা গিয়েছে, রাজিবুল খুবই কর্মঠ ছিলেন। ছোট থেকেই রাজনৈতিক পরিবেশে বড় হয়েছে।
এলাকার উন্নয়নের জন্য সবসময় কাজ করত। বর্তমানে পঞ্চায়েত অফিসের পাশে একটি জমিতে পোলট্রি ফার্ম করে মুরগির ব্যবসা করত। তা দিয়েই সংসার চালাত। এবিষয়ে কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা কান্দি ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাপি সরকার জানিয়েছেন, “এলাকার উন্নয়নের জন্য খুবই তৎপর ছিল পঞ্চায়েত প্রধান তানজিলা বিবির ছেলে রাজিবুল। এমনটা ঘটবে ভাবতে পারিনি। অভিযুক্তদের শাস্তি চাই।”
বুধবার রাতেও তার অন্যথা হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি ফেরেনি ওই যুবক। এলাকা থেকে উদ্ধার হয় তার ক্ষতবিক্ষত দেহ। পঞ্চায়েত প্রধানের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এরপরই জানা যায়, বুধবার রাতে ফার্মে যাননি রাজিবুর। যুবকের বাড়ির লোকেদের দাবি, তাঁদের ছেলেকে সারারাত ধরে অত্যাচার করে খুন করে ভোরে রাস্তার ফেলে দেয় আততায়ীরা। ইতিমধ্যেই পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার।