ভারতের সোনার ছেলের চর্চা এখন সর্বত্র। টোকিও অলিম্পিকে দেশের জন্য সোনা জিতেছেন নীরজ চোপড়া। অলিম্পিক, কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী অ্যাথলিট নীরজ এখন বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়েও প্রথম সারিতে। পুরুষ জ্যাভলিন থ্রোয়ারদের তালিকায় বিশ্বের যত তাবড় খেলোয়াড় রয়েছেন, নীরজ তাঁদের মধ্যে দু’নম্বরে।
ওয়ার্ল্ড অ্যাথলিট র্যাঙ্কিংয়ের তালিকা বের হয়েছে সম্প্রতি। তার মধ্যে পুরুষ জ্যাভলিন থ্রোয়ার বিভাগে নীরজ চোপড়ার র্যাঙ্ক দ্বিতীয়ে। তাঁর স্কোর ১৩১৫। প্রথমে রয়েছেন জার্মানির জোহানেস ভেত্তর, যাঁর স্কোর ১৩৯৬। তৃতীয় ও চতুর্থে রয়েছেন পোলান্ডের মারসিন ক্রুকোস্কি ও চেক প্রজাতন্ত্রের জ্যাকুব ভ্যাডলেক।
নীরজের গ্ল্যামার লুক, কিংবা হিরোইজম ইমেজ তাঁকে এখন বাকি পাঁচজনের থেকে আলাদা করেছে। অলিম্পিকে নিদারুণ সাফল্য তাঁকে অবধারিতভাবে বিজ্ঞাপনী মুখও করে তুলেছে। রাতারাতি নীরজের ব্র্যান্ড ভ্যালুও বাকিদের থেকে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
কনুইয়ে জটিল অস্ত্রোপচার, শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে নীরজের অসাধারণ কামব্যাকও এখন অনুপ্রেরণা দিচ্ছে সকলকে। নীরজের অস্ত্রোপচারের পরে ডাক্তাররা তাঁকে দীর্ঘদিন বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছিলেন। কয়েকমাস ফিজিওথেরাপি চলেছিল তাঁর। পেশির নমনীয়তা ফিরে আসতে সময় লেগেছিল। ডাক্তাররা স্পষ্ট বলেছিলেন, থ্রোয়িং বাদে আর সব কিছুই করতে পারবেন নীরজ। দীর্ঘদিনের বিরতি তাঁর মনোবলে ধাক্কা দেয়নি। বরং দ্বিগুণ উৎসাহে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখেছিলেন। আর সেটাই করে দিয়েছেন দেশের গর্বের জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়া।
কী কারণে নীরজ এত ভাল ফল করলেন, সেটি তলিয়ে দেখলে দেখা যাবে দুই জার্মান বিশেষজ্ঞের কথা। নীরজ ফাইনাল রাউন্ডে যে দুই জ্যাভলিন থ্রোয়ারকে হারিয়েছেন, তার মধ্যে একজন জার্মান অ্যাথলিটও ছিলেন। তাঁর কোথায় দুর্বলতা, কোন অস্ত্রে তাঁকে টপকে যাওয়া যাবে, এই রেসিপি নীরজকে বাতলে দিয়েছেন ওই জার্মান বিশেষজ্ঞরাই।