সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে স্পেনকে হারানোর পরেই দলের খেলোয়াড়দের কড়া বার্তা দিলেন ইতালির কোচ রবের্তো মানচিনি। জানিয়ে দিলেন, সেমিফাইনাল জিতে আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। লড়াই এখনও শেষ হয়নি। রবিবার ইউরো ফাইনাল জেতার পরেই উৎসবে মাতবেন তাঁরা। সাংবাদিকদের মানচিনি বলেছেন, ‘‘এই জয়ের নেপথ্যে ছেলেদের অবদান অনস্বীকার্য। তবে এখানেই থেমে গেলে চলবে না। আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। এখনও লড়াই শেষ হয়নি।’’
এর পাশাপাশি তিনি যোগ করেছেন, ‘‘জানতাম, প্রতিযোগিতার সব চেয়ে কঠিন ম্যাচ খেলতে চলেছি আমরা। ষষ্ঠ ম্যাচে এই ধরনের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলা খুবই কঠিন। প্রত্যেককে তরতাজা চেয়েছি। আমি ভাগ্যবান, দলের প্রত্যেকে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছে।’’ টাইব্রেকারে আলভারো মোরাতার কিক বাঁচিয়ে নায়ক দলের গোলরক্ষক জানলুইজি ডোনারুমা। মানচিনি বলেছেন, ‘‘শুটআউটে কোনও ম্যাচ জেতা মানে লটারি পাওয়ার সমান। যে কোনও কিছুই ঘটতে পারে। তবে আমরা ফাইনালে যাওয়ার জন্যই নেমেছিলাম। যোগ্য দল হিসেবে লক্ষ্যপূরণ করেছি।’’
ইতালির হয়ে টাইব্রেকারে শেষ কিক নিতে এসেছিলেন ডিফেন্ডার জর্জিনহো। ঠান্ডা মাথায় স্পেনের গোলকিপার উনাই সিমোনের বাঁ-প্রান্ত দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। গণমাধ্যমে সমর্থকেরা দাবি করতে শুরু করেন, এ বারের ব্যালন ডি’ওর যেন ইতালি দলের ‘প্রফেসর’-এর হাতেই তুলে দেওয়া হয়। কী ভাবে এতটা চাপ নিয়ন্ত্রণ করলেন তিনি? জর্জিনহোর কথায়, ‘‘শট নেওয়ার আগে লম্বা শ্বাস নিয়ে নিজেকে বলি, এটাই দেশকে জেতানোর সুযোগ। তার পরে ভবিষ্যতের কথা না ভেবেই শট নিই।’’