গত ৩০ জুন নবান্ন থেকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড এর সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দশম শ্রেণির পর থেকেই উচ্চশিক্ষার জন্য ছাত্র ছাত্রীরা এই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন। তার ৫ দিনের মধ্যেই আবেদনের সংখ্যা এবং টাকার পরিমান অনেকটাই অবাক হওয়ার মত। নবান্ন সূত্রে খবর, গত পাঁচ দিনে আবেদন জমা পড়েছে ৮হাজার। যা আবেদন জমা পড়েছে রাজ্যের কাছে, তাতে সবমিলিয়ে ঋণের পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটি টাকা।
কোন জায়গা থেকে কত সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী আবেদন জমা করছে তার বিস্তারিত পরিসংখ্যান ইতিমধ্যেই এসেছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে রাজ্যের মধ্যে থেকে পড়ার জন্য মোট ৬ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। রাজ্যের বাইরে পড়ার জন্য ২হাজার আবেদন জমা পড়েছে। সবথেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছে স্নাতক স্তরে পড়ার জন্য। ডিপ্লোমা কোর্সে পড়ার জন্য মোট ১২০০ আবেদন জমা পড়েছে। এবং বাকি আবেদন স্কুল নিয়ে পড়ার জন্য জমা পড়েছে। স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, এই ৮হাজার আবেদনের মধ্যে সবথেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছে বালিগঞ্জ এলাকা থেকে, তারপরে যাদবপুর এবং উত্তরপাড়া এই তিনটা জায়গা থেকেই সবথেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
আবেদন জমা পড়ার পর ছাত্র-ছাত্রীদের তরফে যে মার্কশিট,সার্টিফিকেট আপলোড করা হচ্ছে সেগুলো প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখবে স্কুল শিক্ষা দফতর। সেগুলির তথ্য যাচাই করার পর ব্যাঙ্কগুলিকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে খতিয়ে দেখা হবে, যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়ার জন্য আবেদন করছেন ছাত্রছাত্রীরা সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির যাবতীয় তথ্য। তারপর ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে লোনের টাকা সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড উদ্বোধনের দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সরকারই হবে গ্যারান্টার। কীভাবে লোনের টাকা শোধ করতে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর ওয়েবসাইটের উদ্বোধন এর প্রথম দিনেই কার্যত প্রযুক্তিগত জটিলতার মুখে পড়েছিল ওয়েবসাইটটি। তার পরে ঠিক করে দেওয়া হয় ওয়েবসাইটটি। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, জেলাগুলির তুলনায় কলকাতা থেকে সবথেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য।