করোনা পরিস্থিতিতে জেলে থাকতে চান না। ‘গৃহবন্দী’ থাকতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন ছত্রধর মাহাতো। আইনজীবীর মাধ্যমে এনআইএ আদালতে এই আবেদন জানিয়েছেন রাজধানী এক্সপ্রেস ‘হাইজ্যাক’ মামলায় ধৃত প্রাক্তন মাওবাদি নেতা। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি।
মার্চ মাস থেকেই জেলবন্দী ছত্রধর মাহাতো। কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্থিতি এবং ছত্রধরের শারীরিক অসুস্থতাকে হাতিয়ার করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁর আইনজীবী। তাঁর আর্জি, জেলে নয়, ছত্রধরকে গৃহবন্দী করে রাখা হোক। সূত্রের খবর, সোমবার এই বিষয়ে এনআইএ আদালতে সিদ্ধান্ত হবে বলে খবর।
পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটির নেতা ছত্রধরকে জেল থেকে ছাড়ার দাবি ওঠে। ২০০৯-এর ২৭ অক্টোবর সেই দাবিতে ঝাড়গ্রামের বাঁশতলা স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেস আটকানোর হয়। মামলা দায়ের হয় ছত্রধরের বিরুদ্ধেও। ২০০৯ সালে তাঁর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের হয়। যেখানে লালগড়ের সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুনের ঘটনায় ছত্রধর-সহ মোট ৩৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের ধারায় মামলা দায়ের হয়। ২০১০ সালে তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। পরে ছত্রধর জামিনও পান। ১১ বছর পর ভোটপ্রয়োগের অধিকার পান ছত্রধরষ। রাজ্যের শাসকদলে যোগ দিয়ে তার হয়ে কাজও করছিলেন। কিন্তু জঙ্গলমহলের ভোটের পরের দিন ২৮ মার্চ ছত্রধরকে গ্রেফতার করা হয়।
এনআইএ-র দাবি, রাজধানী এক্সপ্রেস মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া কয়েকজন ছত্রধরের নাম নিয়েছেন। তাই ছত্রধরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারবার ডাকা হচ্ছিল। কিন্তু তিনি আসছিলেন না। সেই কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ভোট মিটতেই কাকভোরে বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে আনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই থেকেই জেলে রয়েছেন তিনি। এবার জামিনের বদলে গৃহবন্দী থাকার আবেদন জানালেন তিনি।