বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বার সরকার গড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। টুইটারে সেই ট্রেন্ডিং দেখা যাচ্ছে বারবার। এই পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমলেই বঙ্গে ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে বকেয়া উপনির্বাচন দ্রুত সেরে ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার। এমনকী রাজ্যসভায় যে ক’টি আসন খালি আছে সেগুলিরও ভোট শেষ করতে চাইছে। আর এই দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চলেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
সাংসদ পদ থেকে দীনেশ ত্রিবেদী ইস্তফা দিয়েছেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পদত্যাগ করেন মানস ভুঁইয়া। বাংলা থেকে খালি হওয়া এই দু’টি রাজ্যসভার আসনে নতুন প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার কথা। এখন নির্বাচন করাতে কিছুটা গড়িমসি করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ এগুলিতেও তাঁরা হারবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তৃণমূলের বক্তব্য, রাজ্যসভার ভোট আমজনতার নয়। ভোট দেবেন বিধায়করাই এবং তা হবে বিধানসভা ভবনের ভিতর। সুতরাং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে নির্বাচন করতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায় জানান, সংবিধান অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে রাজ্যসভার নির্বাচন করতে হবে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আর একটু উন্নতি হলেই ভোট–পর্ব সেরে ফেলা ভাল। বাংলার সঙ্গে কেন্দ্রের এখন ফাটাফাটি অবস্থা চলছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও সাংবিধানিক সঙ্কটের দিকে না রাজ্যকে ঠেলে দেয় কেন্দ্র তার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই গোটা বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।