২০০-র বেশি আসন জিতে বাংলা দখলের খোয়াব দেখেছিল তারা। কিন্তু বাস্তবে তিন সংখ্যাই ছুঁতে পারেনি গেরুয়া শিবির। আর এ হেন গোহারা হারের পর থেকেই হেস্টিংসে দলের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় কার্যত ফাঁকা মাঠ। নেই কোনও ব্যস্ততা। চারটে তলা ভাড়া নেওয়া এই ঝাঁ চকচকে কার্যালয় এখন কার্যত বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ মাসে ভাড়া বাবদ গুনতে হচ্ছে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। তাই ব্যয়ভার কমাতে হেস্টিংস অফিসের তিনটে তলা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। থাকছে না নির্বাচনী যুদ্ধের জন্য তৈরি হওয়া সেই অত্যাধুনিক ‘কল সেন্টার’ও। মাত্র একটি তলা অর্থাৎ আটতলাটিই শুধুমাত্র রেখে দেওয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘যেটুকু দরকার আগে ছিল সেই আট তলাটা শুধু রেখে দেওয়া হবে। বাকি তিনটি তলা ছেড়ে দেওয়া হবে। সেটাই আমি বলে দিয়েছি। কল সেন্টার থাকবে না। এই মাস থেকেই ছেড়ে দিতে বলেছিলাম। তাছাড়া অফিসও এখন তো এমনিতেই বন্ধ।’
প্রসঙ্গত, ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেন বিজেপির রাজ্য দফতর। যেখানে রাজ্য সভাপতি থেকে শুরু করে সাধারণ সম্পাদক ও পদাধিকারীদের ঘর রয়েছে। আবার পিছনের বিল্ডিংয়েও একাধিক ঘর রয়েছে। ২০১৬-র বিধানসভা ও ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনের সময়ও দলের কাজকর্ম এই দপ্তর থেকেই পরিচালিত হয়েছিল। রাজ্য দফতরে জায়গার অভাব থাকায় ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই হেস্টিংসে আলাদা করে নির্বাচনী দফতর বানায় বিজেপি। ১০ তলা বাড়ির চারটি তলা নিয়ে তৈরি হয় কার্যালয়। পাঁচ তলায় রয়েছে মিডিয়া সেন্টার ও আইটি সেন্টার। সাততলায় বিশাল কল সেন্টার। আট ও ন’তলায় রয়েছে নেতাদের বসার আলাদা আলাদা ঘর। ভোটের সময় পর্যন্ত এখানে সব সময়ই লেগে থাকত ভিড়। শুধু কল সেন্টারেই কয়েকশো ছেলেমেয়ে কাজ করতেন। ২০২১-এর নির্বাচনের বিশাল ওয়্যার রুম তৈরি হয়েছিল এই হেস্টিংস কার্যালয়ে। এখন দলের একাংশ মনে করছে কয়েকটি দফতর ছাড়া মূল কাজকর্ম পরিচালনা হোক ফের মুরলীধর সেন লেনের দফতর থেকেই।