আগের তুলনায় রাজ্যে করোনার দাপট অনেকটাই কমেছে। তবে তা এখনও পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়নি। এরমধ্যেই বঙ্গের দুয়ারে এসে পড়েছে বর্ষা। যার ফলে করোনার দোসর হতে পারে ডেঙ্গু। জমা জলে ফের মশার আঁতুরঘর তৈরি হতে পারে বিভিন্ন জায়গায়। সেই কারণে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। আগামী সপ্তাহে এই নিয়ে স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন রাজ্যের নতুন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, একে তো করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে সরকারকে। এবার যদি এর সঙ্গে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয় তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। সেই কারণে এবার ডেঙ্গু মোকাবিলায় আগাম কোমর বেঁধে নামার পরিকল্পনা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধের রুটিন কাজে কোথাও ঘাটতি থেকে যাচ্ছে কি না সেটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মশা নিরোধক স্প্রে হচ্ছে কি না, বাসিন্দারা মশারি ব্যবহার করছেন কি না, এছাড়াও বাড়ির কোথাও জমা জলে মশা জন্মাচ্ছে কি না সেটাও দেখা হবে।
ইতিমধ্যে ডেঙ্গু মোকাবিলায় পরিকাঠামো যথাযথ রয়েছে কি না সেই ব্যাপারে সরকারি তরফে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার উপর জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কলকাতা কর্পোরেশন এলাকা, রাজ্যের সমস্ত পুরসভা ও ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকে এই কাজে এগিয়ে আসার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের তরফে অনুরোধ করে হয়েছে। কোথাও জল জমে থাকছে কি না, ডেঙ্গু সংক্রান্ত ব্যাপারে সাধারণ মানুষ আদৌ সচেতন কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে অভিজ্ঞ মহলের মতে, করোনা হলেও অনেকের জ্বর হয়। আবার ডেঙ্গু হলেও জ্বরের প্রবণতা থাকে। সেক্ষেত্রে যাতে রোগ নির্ণয় করে সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হয়, সেই দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।