যশ হোক বা করোনা, কীভাবে সব দিক দিয়ে ধেয়ে আসা বিপত্তি মোকাবিলা করতে হবে, তার ছক বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই বিষয়ে একগুচ্ছ ঘোষণা করলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যশে ২০,০০০ কোটির টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে রাজ্যে। ১২০০ ত্রাণশিবির চলছে। প্রায় ২ লক্ষ মানুষ সেই ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন। ত্রাণ দুর্নীতি রুখতে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছে যে, কোনও পরিষেবার অভাব যাতে না হয় তার জন্য জেলাপরিষদকে সঙ্গে নিয়ে এই কাজ সামলাবেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার।
তিনি জানিয়েছেন, এখন রাজ্যে যেহেতু সংক্রমণের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে, সেজন্য জুন মাসে ২২ লক্ষ ভ্যাকসিন কেনার জন্য ১১৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। ওদিকে সবজি বিক্রেতা, হকার, মৎস্য বিক্রেতাদেরও টিকার আওতায় আনা হচ্ছে।
কড়া বিধিনিষেধের মধ্যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যাতে ক্ষতির মুখে না পড়েন, তার জন্য যেরকম বেশ কিছু ছাড় ঘোষণা করলেন, সেরকমই যশ ও করোনা মোকাবিলার জন্যও বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয় জানিয়েছেন তিনি।
ওদিকে যশ দুর্গতদের জন্যেও বেশ কয়েকটি ঘোষণা করেছেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্লকগুলোতে দুয়ারে ত্রাণ পৌঁছে দেবে সরকার। টর্নেডোতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষেরা এই সুবিধা পাবেন। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের নিজেদের আবেদন করতে হবে। সেই আবেদনপত্র এসডিও, বিডিও ছাড়াও গ্রামপঞ্চায়েতে যে শিবির হবে, সেখানেই জমা দিতে হবে।এছাড়াও ফ্লাড সেন্টার বাড়ানোর জন্য নীতি আয়োগের কাছে মুখ্যসচিবকে টাকা চেয়ে চিঠি লিখতে বলেন তিনি।