মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে মোবাইলে যে ‘ব্যক্তিগত বার্তা’ পাঠিয়েছিলেন, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর সেটি প্রকাশ্যে আনায় বেজায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল। এতটাই যে, ভবিষ্যতে রাজভবনের সঙ্গে এই ধরনের ‘সৌজন্যমূলক যোগাযোগ’ আর রাখা হবে কি না, তা নিয়েও শাসক শিবিরের অন্দরে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।
সোমবার প্রায় মধ্যরাতে ধনকর একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, গত বৃহস্পতিবার জরুরি ভিত্তিতে কথা বলতে চেয়ে মমতা তাঁকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন। তার পর দু’জনের মধ্যে ফোনে কথা হয়। ধনখড়ের দাবি, সেখানেই মমতা তাঁকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তিনি কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রীর ইয়াস পর্যালোচনা বৈঠকে থাকতে পারবেন না। থাকতে পারবেন না রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ অফিসারেরাও।
রাতেই ওই বিষয়ে তৃণমূলের অন্দরে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়। অতঃপর মঙ্গলবার সকাল থেকে তৃণমূলের শীর্ষ নেতানেত্রীদের একাংশ মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীর কাছে আর্জি জানাতে থাকে, রাজভবনের সঙ্গে এই ধরনের ‘বার্তা বিনিময়’ বন্ধ করে দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, তিনিও বিষয়টিকে ভাল ভাবে নেননি। তবে শেষ পর্যন্ত ধনখড়ের এই আচরণ রাজভবন-নবান্ন সম্পর্কে কোনও ছায়াপাত করে কি না, তা দেখার।
দলের এক প্রথম সারির নেতার কথায়, ‘সমস্ত পর্যায়ের রাজনীতিতেই এই ধরনের বার্তা বিনিময় চালু থাকে। মুখ্যমন্ত্রী নিজস্ব সৌজন্যবোধ থেকে রাজ্যপালকে বার্তা পাঠিয়ে জরুরি ভিত্তিতে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। রাজ্যপাল সেটা জনসমক্ষে এনে ঠিক করেননি। এটা কিন্তু রাজ্যপাল সুলভ কাজ নয়। যিনি নিজেকে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান বলে অহরহ দাবি করেন, তিনি এমন আচরণ করলে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক! এর পরে রাজভবনের সঙ্গে এমন যোগাযোগ রাখা যাবে কি না, সেটা গুরুত্ব দিয়ে ভাবার সময় এসেছে।’