‘সিটিজেন্স রেসপন্স’ টিম গড়ে গত ১৫ দিন ধরে কাজ করছেন তাঁরা। যেখানে রয়েছেন ‘হেডস’, ‘বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ’, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, চিকিৎসকরা। পাটুলিতে একটি ক্লাবে সেই সব রোগীকে আনা হচ্ছে, যাঁদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক থাকছে না। যত ক্ষণ না হাসপাতালে শয্যা পাওয়া যাচ্ছে, তত ক্ষণ তাঁদের অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে সেখানে। তাঁদের এই উদ্যোগ নিয়ে অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ১৫ দিন ধরে কাজ করছি। টানা যোগাযোগ রেখেছি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের সঙ্গে। সেখানকার চিত্রটা জানি। তাঁরা যে ভাবে ২৪ ঘণ্টা জেগে রয়েছেন, তা অভাবনীয়। সবাই সবার মতো করে চেষ্টা করছেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে শুরু করে ব্যক্তি মানুষ। রাজ্য সরকার থেকে বিশিষ্টজন।
অভিনেতার মতে, সমস্যাটা হল, গোটা দেশে অক্সিজেনের ঘাটতি রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও পরিকল্পনা চাক্ষুষ করতে পারিনি। খারাপ সময়ের জন্য একটা দেশে যথেষ্ট অক্সিজেন মজুত করা নেই! ভাবা যায়? খারাপ পরিস্থিতি কেবল বাংলায় নয়। দিল্লিতেও তাই, মহারাষ্ট্রেও। উত্তরপ্রদেশ কিংবা কর্নাটকেও। তবু তো আমি বলব রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল নিজেরাই যতটা সম্ভব করছে। তাদের সাহায্য করতে তাই সকলের এগিয়ে আসা উচিত। গাফিলতি যে জাতীয় স্তরে, তা আমরা সকলেই জানি। উত্তরপ্রদেশে রাস্তায় শবদেহ পোড়ানো হচ্ছে। সেটা যাতে আমাদের এখানে না হয়, বা কম হয়, সেটার জন্যই প্রত্যেকে খাটছি।
দেশে বেড-অক্সিজেন নিয়ে চলতে থাকা কালোবাজারির বিষয়ে পরম বলেন, এই পরিস্থিতিতে কালোবাজারি চলবেই। আমাদের দেশের অমোঘ সত্য এটা। দিল্লীতে সাড়ে তিন লক্ষ টাকায় একটি রেমডেসিভির বিক্রি হচ্ছে। এখানেই আমার প্রশ্ন, দেশে কেন্দ্রীয় সরকার বলে কিছু আছে কি আদৌ? আমি জানি না। তারা তো মোটামুটি বলে দিয়েছে যে রাজ্যগুলিকে বুঝে নিতে হবে। তাদের তরফ থেকে না আছে কোনও উচ্চপদস্থ বৈঠকের ফলাফল, না আছে পরিকল্পনা। বরং রাজ্যগুলিই চেষ্টা করছে। কিন্তু এখন কালোবাজারি আটকাতে সময় নষ্ট করবে নাকি মানুষের প্রাণ বাঁচাবে! নিজেদের চেষ্টা করতে হবে, কালোবাজারি এড়িয়ে চলতে।