বিহারের পর এবার যগীরাজ্যেও একই কাণ্ড। যতদূর চোখ যায় গঙ্গায় ভাসছে অগুন্তি পচাগলা মৃতদেহ। পাড়ে আধপোড়া মৃতদেহে স্তূপ। সোমবারও পর মঙ্গলবারও একই ঘটনা। তবে এবার বিহারের বক্সার নয়, উত্তরপ্রদেশের গাজীপুরে। সকাল হতেই নদীর পাড়ে বেওয়ারিশ লাশের সারি। করোনা পরিস্থিতি এভাবে নদীর জলে মৃতদেহ ভেসে আসায় স্বাভাবিকভাবেই গাজীপুরেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
গ্রামবাসী সহ স্থানীয় প্রশাসনের আশঙ্কা দেহগুলি করোনায় মৃত রোগীর। সৎকারের জায়গায় না পেয়ে মৃতদের ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে জলে। এতে শবদেহ থেকে নদীর জল থেকে বিস্তীর্ণ জায়গায় করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বক্সারের সংলগ্নই উত্তরপ্রদেশের গাজীপুর। এখান থেকেই গঙ্গা বিহারে প্রবেশ করে। গতকাল বক্সারের নদীর পাড়ে প্রায় শতাধিক মৃতদেহ ভেসে আসায় শোরগোল পড়েছিল। স্রোতের দিক বিচার করে বক্সার প্রশাসনের অনুমান ছিল দেহ গুলি উত্তরপ্রদেশ থেকেই এসেছে। এদিন গাজীপুরেও একইভাবে মৃতদেহ ভেসে ওঠার ঘটনায় সেই ধারণাতেই সিলমোহর পড়ল।
করোনায় মৃত্যু হলে কোভিড বিধি মেনে প্রশাসনের নজরদারিতে দেহের সৎকার করা হয়। কিন্ত এভাবে দেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয়দের দাবি, এই প্রথম নয় বেশ কয়েকদিন ধরেই নদীতে দেহ ভেসে আসার ঘটনা ঘটছে। এত বিপুল সংখ্যায় মৃতদেহ নদীর পাড়ে জমে থাকায় প্রশাসনের নজর পড়েছে। এখনও পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরে যমুনায় ও বিহারের কাটিহার ও বক্সায় গঙ্গায় লাশ ভেসে আসার ছবি নজরে এসেছে। পচাগলা, আধপোড়া মৃতদেহের গন্ধে অস্বস্তিকর, অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি নদী সংলগ্ন গ্রামগুলিতে। সংক্রমণের আশঙ্কায় আতঙ্কে কাঁটা গ্রামবাসীরা। যোগী আদিত্যনাথ ও নীতিশ-বিজেপি সরকারের উপর উগড়ে দিয়েছে ক্ষোভ। উল্লেখ্য, করোনার প্রথম ঢেউয়েও বিহার ও উত্তরপ্রদেশে নদীতে কোভিডে মৃতের দেহ ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।