দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। রাজভবনে শপথ নেওয়ার পর তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে নবান্নে পৌঁছ গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘড়ির কাঁটায় তখন ১১ টা ১১ মিনিট। ঠিক যেমন ছোট করে হয়েছিল শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান, তেমনই ছোট করেই সারা হল নবান্নে গার্ড অফ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান পর্ব সাঙ্গ হতেই লিফটে উঠে ১৪ তল্লায় রওনা হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানেই কিছুক্ষণেই বিশেষ করোনা বৈঠক করবেন তিনি। নিতে পারেন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক, মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক, স্বাস্থ্যদফতরের আধিকারিকরা।
এদিন ঠিক তিন মিনিটে শপথগ্রহণ সারেন মমতা বলেন, বাংলার মা মাটি মানুষকে সেলাম। সারা পৃথিবীর বহু মানুষ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। প্রথম প্রায়োরিটি করোনা মোকাবিলা। শান্তি বজায় রাখুন। আমি শান্তির পক্ষে। আমি কিন্ত ব্যবস্থা নিতে পিছপা হব না। বিধানচন্দ্র রায়, জ্যোতি বসুর পর মমতাই তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান থেকে পরিষ্কার বলেন, রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। দলীয় রঙ না দেখে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন প্রায় নির্বাচনী বিধি জারি হওয়ার পর থেকেই নির্বাচন কমিশন বিষয়টির দায়িত্বে ছিল। আজ নবান্নে পৌঁছে পুলিশি রদবদলের ইঙ্গিতও দেন মমতা। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “শান্তি বজায় রাখুন। আমি শান্তির পক্ষে। বাংলা অশান্তি পছন্দ করে না। অশান্তি করলে যে দলেরই হোন আমি ব্যবস্থা নিতে পিছপা হব না।”
এদিন রাজভবনের সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই আমন্ত্রিত ছিলেন মাত্র ৫০ জন। উপস্থিত ছিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত বক্সীরা। আমন্ত্রিত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রাও, যদিও কোভিডের সতর্কতার কারণেই তাঁরা আসতে পারেননি।