থ্রোন রুম তখন সেজে উঠেছে আলোকমালায়। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এসে উপস্থিত পোডিয়ামে। সঞ্চালনা করছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাজভবনের সমস্ত আলো শুষে নিয়ে পোডিয়ামে হাজির হলেন তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হওয়া বাংলার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল। তারপর সই করলেন প্রোটোকল অনুযায়ী। ফিরে এলেন রাজ্যপালের পাশের চেয়ারে। তার পর আবার জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে শেষ হল শপথ অনুষ্ঠান।
এই শপথ অনুষ্ঠান অনেকেই সংবাদমাধ্যমে এবং ডিজিটাল মিডিয়ায় লাইভ দেখেছেন। কিন্তু মাঝে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জগদীপ ধনকরের মধ্যে তিন মিনিটের মতো কথা হল। যা অনেকেই দেখতে পাননি। তবে এখানে কোনও বাক–বিতণ্ডা ছিল না। বরং দেখা গেল পরস্পর পরস্পরকে সম্মান জানিয়ে করজোড়ে কথা বলতে। সেই কথা জানতে চান বাংলার মানুষজন। যাঁরা ভোট দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোকে তৃতীয়বার বাংলার মসনদে বসিয়েছেন।
ঠিক কী কথা বল? এখানে ছোট বোন বলে তাঁকে সম্বোধন করলেন জগদীপ ধনকর। রাজ্যপাল–বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপাল এদিন বলেন, ‘আশা রাখব রাজ্যকে অশান্তি মুক্ত করার দিকটা আপনি দেখবেন।’ পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলায় যেন কোনও অশান্তি না হয় সেদিকটা দেখা হবে। অশান্তি করলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আজ থেকে আমি নিজেই আইনশৃঙ্খলার দিকে নজর রাখব।’ এরপর রাজ্যপাল বলেন, ‘আপনি বাংলার মানুষের ভরসা। তাই মানুষ আপনাকে এই জায়গা দিয়েছে। আপনার কাছে আমার বিনীত অনুরোধ ভোট পরবর্তী হিংসা আপনি কড়া হাতে মোকাবিলা করবেন।’ মুখ্যমন্ত্রীর জবাব, ‘নিশ্চিন্তে থাকুন। বাংলার মানুষের পাশে আমি ছিলাম, আছি এবং থাকব।’ তারপরই রাজভবন ছেড়ে নবান্নের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি।