করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশে। আর তার করাল গ্রাস থেকে মুক্তি পায়নি এ রাজ্যও। ইতিমধ্যেই সংক্রমণ রুখতে রাজ্যে জারি হয়েছে আংশিক লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে শহরবাসীর ভোগান্তি কমাতে এবার এগিয়ে এল কলকাতা পুরসভা। ধাপা-নিমতলায় চুল্লির সংখ্যা কম থাকায় দীর্ঘক্ষণ ধরে সেখানে কোভিডের দেহ শেষকৃত্যের জন্য পড়ে থাকছে। পরিজনরা সময়ে ডেথ সার্টিফিকেট হাতে পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ উঠছে। এই কারণে এবার ধাপার পাশাপাশি উত্তর কলকাতার নিমতলা শ্মশানে আরও চারটি বৈদ্যুতিক চুল্লি চালু করছে পুরসভা। এতদিন নিমতলায় মাত্র একটি চুল্লিতেই কোভিডের দাহ চলছিল।
শুক্রবার কলকাতা পুরসভায় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ধাপায় চারটি, নিমতলায় চারটি এবং বিরজুনালার চুল্লিতেই আগের মতো কোভিডের দেহ দাহ করবে পুরসভা। পুরমন্ত্রীর কথায়, ‘এখন যেহেতু কোভিডেই বেশি মানুষ মারা যাচ্ছেন তাই চুল্লির সংখ্যা বাড়ানো হল। মৃতদেহ থেকে যেহেতু করোনা সংক্রমিত হয় না, তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ৮০০ থেকে ১১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় দেহ পোড়ানো হয়, তার পর কোনও জীবাণু বেঁচে থাকতে পারে না।’ এছাড়া স্থানীয় ভিত্তিতে হাওড়া ছাড়াও খড়দা, বারুইপুর, ক্যানিং, রাজপুরেও কোভিড দেহ দাহ পরিচালনা করবে সংশ্লিষ্ট জেলাপ্রশাসন।
কোভিডের দেহ ধাপায় দাহ করার সুবিধা দেওয়ার নাম করে স্বজনহারাদের কাছ থেকে পুরকর্মীদের একাংশ ঘুষ নিয়ে কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ছিল। অভিযোগের সুরহা করতে আগেই সরকারি হাসপাতাল ও বাড়িতে করোনায় মৃতের নিখরচায় শেষকৃত্যের কথা ঘোষণা করেছে কলকাতা পুরসভা। পুরভবনে বৈঠক শেষে কোভিডে মৃতের ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়া নিয়েও জটিলতা দূর করার ঘোষণা করেন পুরমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অনেক কোভিড মৃতের দাহর সময় নিকটাত্মীয়রা নানা কারণে শ্মশানে যেতে পারছেন না। এবার শ্মশানেই হাতে হাতে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হবে, নয়তো যোগাযোগ করলে পুরসভাই বাড়িতে ডেথ সার্টিফিকেট পৌঁছে দেবে।’