আগামী ২৬ এপ্রিল সপ্তম দফার নির্বাচন রাজ্যে। ওই দফায় ভোট হবে মুর্শিদাবাদ জেলায়। সেই দিকে চোখ রেখেই মঙ্গলবার তিনটি সভা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মুর্শিদাবাদ ও ভগবানগোলা বিধানসভার প্রচার করবেন জিয়াগঞ্জে, সাগরদিঘিতে সেখানকার ও নবগ্রাম বিধানসভার প্রচারসভা করবেন এবং ফারাক্কায়, সেখানকার ও সামসেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে নির্বাচনী সভা করছেন।
এদিন বরাবরের মতই বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘বিজেপি রেল, বিএসএনএল, এমটিএনএল সব বিক্রি করে দিচ্ছে। আমাদের উন্নয়নের রেকর্ড আছে। বিজেপির শুধু বিসর্জনের রেকর্ড। দেশের মানুষকে ওষুধ না দিয়ে বিদেশে ৬৪% ওষুধ দিয়ে দিয়েছে। কাল ওষুধ বাজার থেকে কেনার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু এখন দিলে কী হবে? ওষুধ তো নেই বাজারে। সব বিদেশে পাঠিয়ে নেতা হচ্ছে। আর গরীব মানুষগুলোকে মেরে ফেলছে। আমি গিয়ে আবার চিঠি লিখব। বলব বাজারে ওষুধ ছাড়ুন।’
শীতলকুচির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মমতা বলেন, ‘শীতলকুচির ঘটনা মনে আছে? আমরা বুলেটের জবাব ব্যালটে চাই। মানুষগুলোর কোন দোষ ছিল না। অন্যায়ভাবে গুলি করেছে। তদন্ত হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কাল রামনবমী আছে। দেখবেন বিজেপি যেন দাঙ্গা করতে না পারে। কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। ভোটের দিন হিন্দু মুসলমান করবে, তারপর উধাও হয়ে যায়। নরেন্দ্র মোদী রাজধর্ম পালন করেন না। শুধু বিজেপি ধর্ম পালন করে।’
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘ভিক্ষা নয় চাইছি ঋণ কন্যাশী, স্বাস্থ্যসাথী, রূপশ্রীর জন্যে ভোট দিন। ভোগ ভাগাভাগি করবেন না। সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস ভাই ভাই। হায়দ্রাবাজ থেকে সাম্প্রদায়িকতা করতে কিছু দালাল এসেছে। আমরাই একমাত্র বিজেপির সাথে লড়ি আর কেউ লড়ে না।’ তাঁর ডাক, ‘এবার ২২ টা সিটের সবকটাই আমাদের দিন। এবার বাংলা বাঁচানোর নির্বাচন। ভাষা বাঁচানোর নির্বাচন। সম্প্রীতি বাঁচানোর নির্বাচন। আমরা চাই এবার বাংলার সরকার আপনারা তৈরি করে দিন।’