বাংলায় চতুর্থ দফার বিধানসভার নির্বাচনে শীতলকুচি গুলি-কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নিল সিআইডি। দায়িত্ব হাতে পাওয়ার পর ওই ঘটনায় একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে ওই সংস্থা। পাশাপাশি, মাথাভাঙা থানা থেকে এ সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র চেয়ে পাঠিয়েছেন তদন্তকারীরা। শীঘ্রই শীতলকুচিতেও যাবেন তাঁরা। গোটা ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে আগামী ৫ মে-র মধ্যে সিআইডি-র কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, গত ১০ই এপ্রিল কোচবিহারের মাথাভাঙা থানার অন্তর্গত শীতলকুচিতে ২টি আলাদা বুথে গুলিচালনায় মোট ৫ জন নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েক জন। শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুধে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ-এর গুলিচালনায় নিহত হন ৪ জন। যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য রাজ্যনীতিতে। সোমবার এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা রুজু করা হয়। কোন পরিস্থিতিতে, কী ভাবে শীতলকুচিতে গুলিচালনা হয়েছিল, তা সবিস্তার জানতে চেয়ে আবেদন করেন ফিরদৌস শামিম। সেই সঙ্গে ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে বিচারবিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে শাস্তিরও দাবি তোলেন তিনি। পাশাপাশি, বাকি দফাগুলির ভোটপ্রক্রিয়া থেকে অভিযুক্তদের সরিয়ে দেওয়া এবং শীতলকুচির ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্যেরও আবেদন করেছেন শামিম। সেই আবেদনের শুনানি ছিল শুক্রবার।
শুক্রবার সরকারি আইনজীবী হাইকোর্টকে জানিয়েছেন, কোচবিহারের মাথাভাঙা থানায় শীতলকুচি-কাণ্ডের এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি, ওই ঘটনার তদন্তভার সিআইডি-র হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এর পরই সিআইডি-র কাছ থেকে ওই ঘটনায় তদন্ত রিপোর্ট ৫ মে-র মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, শীতলকুচি-কাণ্ডের দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, কমিশনের পাশাপাশি এ নিয়ে রাজ্যের তরফে সমান্তরাল ভাবে করানো হবে তদন্ত।