যে কোনও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকবে উপরাজ্যপালের হাতে। তাঁর সিদ্ধান্তকেই সরকারি সিদ্ধান্ত বলে মেনে নেওয়া হবে। নতুন আইন পাশ করতে গেলেও উপরাজ্যপালের সম্মতির দরকার পড়বে। এমনকি নির্বাচিত সরকারকেও উপরাজ্যপালের কথামতোই চলতে হবে। এ কথাই বলা হয়েছে ‘দ্য গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটোরি অব দিল্লী বিল’-এ। এবার সেই বিতর্কিত এনিসিটি বিলে সম্মতি দিয়ে দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। যার ফলে আরও ক্ষমতা বাড়ল দিল্লীর উপরাজ্যপালের। এখন থেকে প্রশাসনিক কোনও সিদ্ধান্ত একক ভাবে নিতে পারবেন না দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এজন্য তাঁকে উপরাজ্যপালের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
জানা যাচ্ছে, রবিবার ‘দ্য গভর্নমেন্ট ক্যাপিটল টেরিটরি অফ দিল্লী (সংশোধিত) বিলে সই করেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির সইয়ের পরই এই বিল আইনে পরিণত হল। গত ২২ মার্চ লোকসভায় পাস হয় এই বিল। তার দু’দিন পর গত ২৪ মার্চ রাজ্যসভায় পাস হয় বিলটি। তবে প্রথম থেকেই এই বিলের বিরোধিতা জানিয়ে আসছে আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস-সহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দল। দিল্লীতে নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা কেড়ে নিতে চাইছে বিজেপি, এই ভাষাতেই সোচ্চার হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রাজ্যসভায় বিল পাসের পরেই তিনি টুইটে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘গণতন্ত্রের কালো দিন শুরু হয়ে গেছে।’ এই বিলকে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত হানার সামিল বলে সরব হতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কংগ্রেসকেও।