হাতে বাকি এক সপ্তাহেরও কম সময়। এদিকে ভোটের আগেই কার্যত কেরালার একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে বিজেপি। বা বলা ভালো নির্বাচনী ময়দান থেকে অবসরের রাস্তায় হেঁটেছে। এদিকে ইতিমধ্যেই ২৫ মার্চ কেরালায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের একটি নির্বাচনী জনসভা থাকলেও তা বাতিল হয়ে যায়। ভোটের মুখে শাহী-সভা বাতিল যে কেরালার গেরুয়া শিবিরের জন্য কার্যত বড় ধাক্কা তা বলাই বাহুল্য।
একইসাথে ইতিমধ্যেই তিন এনডিএ পদপ্রার্থীর বাতিল হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। বিজেপির কান্নুর জেলা সভাপতি হরিদাসের মনোনয়নপত্রও বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। তাঁর মনোনয়ন পত্রে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির স্বাক্ষর না থাকাতেই তা বাতিল করা হয় বলে খবর। যা রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলেছে পদ্ম শবিরকে। ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে তৃণমূল স্তরের কর্মী সমর্থকদের মধ্যেও।
এদিকে একাধিক জেলায় ভোট প্রচারের জন্য বিজেপির তরফে দেওয়াল ধরে রাখা হলেও তাতে এখনও ফোটেনি পদ্ম। এদিকে যে রাজ্যে আর সাত দিনের মধ্যে শুরু হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচনে, সেখানে পদ্ম শিবিরের এই করুন দশা দেখে অবাক হচ্ছেন অনেকেই। আবার অনেকেরই যুক্তি এ ছবি নতুন নয়, বিগত শতক থেকেই কেরালায় বাম-কংগ্রেসের কাছে বিশেষ পাত্তা পায়নি বিজেপি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিজেপির কান্নুর জেলা সভাপতি হরিদাস লড়ছিলেন থ্যালাসেরি আসন থেকে। কিন্তু তাঁর মনোমনোয়ন বাতিল হয়ে যাওয়ায় সেখানে এখন লড়াইটা কার্যত দ্বিমুখী। ময়দানে রয়েছে শুধু সিপিএমের বর্তমান বিধায়ক এ এন শামসির, এবং উল্টোদিকে রয়েছেন কংগ্রেসের এম পি অরবিন্দাক্ষর। এদিকে এই কেন্দ্রে ১৯৫৭ পরবর্তী সময় থেকে বরাবরই বামেদের দাপট দেখা গিয়েছে।
যদিও থ্যালাসেরি ও পার্শ্ববর্তী আসন আবার সংঘ পরিবারের পছন্দ তালিকায় ছিল দীর্ঘদিন থেকেই। এমনকী আরএসএস-র অনেক কর্মকর্তার উত্থানও এই এলাকা থেকেই। এমনকী সিপিএমের সঙ্গে বিজেপি সংঘাতও এখানে বহু পুরনো। এমনকী ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলেই দেখা যাবে রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন দুই দলেরই বহু ‘ক্যাডার’। এদিকে থ্যালাসেরির পাশেই রয়েছে কোথুপুরমবা ও ধর্মদম আসন। আসন্ন নির্বাচনে বামেদের তরফ থেকে এই ধর্মদামের প্রার্থী আবার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।