ভোটের আগে থেকেই তৃণমূল নেত্রী বারবার দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছিলেন, ‘ভোট লুঠ করবে বিজেপি, সতর্ক থাকুন। কেউ চা-বিরিয়ানি খাবেন না।’ তৃণমূল নেত্রীর সেই আশঙ্কার কথাই উঠে এল দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের বিপুল সংখ্যক ভোটারদের মুখে। তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা যে প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন, তাতে না পড়ে সেই ভোট চলে যাচ্ছে বিজেপির প্রার্থীর ঘরে!
সেই অভিযোগ তুলে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ভোটাররা। তাঁদের অভিযোগ, ইভিএমে ভোট দিলেই তা বিজেপিতে পড়ছে। ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোটারদের বিক্ষোভের জেরে ভোটদান আপাতত বন্ধ রয়েছে বলেই খবর। যদিও ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারের দাবি, ভোটাররা ভিভিপ্যাট দেখেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। যদিও ভোটারদের একাংশের অভিযোগ, প্রিসাইডিং অফিসার ভিভিপ্যাট ও ইভিএম থেকে দূরে থাকেন। তাই তাঁর পক্ষে কোনওভাবেই দেখা সম্ভব নয় কোথায় ভোট পড়ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ‘আমরা ভোট দিয়েছি তৃণমূলে। অথচ ভোট পড়েছে বিজেপিতে। তাই আমাদের আবার ভোটদানের সুযোগ দিতে হবে। পাল্টে দিতে হবে ভিভিপ্যাট ও ইভিএম।’ ভোটকর্মীদের বুথের ভিতরে রেখেই আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে ওই বুথের ভোটগ্রহণ।
ভোট প্রচারে প্রতিদিনই রাজনৈতিক সমাবেশের মঞ্চে বক্তব্যের শেষ দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্ক করছেন তাঁর দলের ভোট কর্মীদের। বিশেষ করে যারা বুথ এজেন্ট, যারা পোলিং এজেন্ট তাঁদেরকে তিনি বারবার বাড়ির খাবার ব্যতীত অন্য খাবার খেতে বারণ করছেন। প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বুথ কর্মীরাই তাঁর দলের সম্পদ। কিন্তু চক্রান্ত করে কেউ বা কারা তাদের খাবারের মধ্যে ঘুমের ওষুধ বা এমন কিছু মিশিয়ে দিতে পারে। যাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় হয়ে পড়ায় ভোটের দিন বা পরে অন্যরকম খেলা হতে পারে। এই অবস্থায় দক্ষিণ কাঁথিতে এহেন মারাত্মক অভিযোগে শোরগোল পড়েছে বঙ্গে।