আজ, শনিবার থেকে শুরু হয়েছে বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। এই মুহূর্তে রাজ্যের ৩০টি আসনে চলছে প্রথম দফার ভোট। পাশাপাশি বিজেপির সন্ত্রাসের ছবিও উঠে আসছে নানা জায়গা থেকে। এবার যেমন ভগবানপুর বিধানসভায় গাজিপুরে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটদানে বাধার অভিযোগ তুললেন ভোটাররা। সূত্রের খবর, তৃণমূল সমর্থকদের ভোট দিতে গেলেই বাধা দিচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। এমনকী বিজেপি কর্মীরা তাঁদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, দোকান পাট ভেঙ্গেছে। পরবর্তীতে শাসিয়ে গিয়েছে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া যাবে না। শুধু তাই নয়। এলাকাবাসীর দাবি, গতকাল রাত ও আজ সকালে এসে বিজেপি কর্মীরা হুমকি দিয়ে গিয়েছে ভোট দিতে যাওয়া যাবে না।
প্রসঙ্গত, এদিন প্রথমেই সেখানে এক প্রতিবন্ধী মহিলা ও তাঁর মেয়েকে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ভোট দেওয়ার জন্য বুথে ঢুকতেই তাদের চলে যেতে বলা হয়। প্রতিবন্ধী মহিলার স্বামী একজন তৃণমূল কর্মী হওয়ায় তাদের সঙ্গে এরকম করা হয় বলে দাবি করেন তিনি। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তারা। ভোট দেওয়ার পর ফেরার পথে তাদের ওপর হামলা করা হতে পারে এমনটাও আশঙ্কা করেন তারা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে সাহায্য চাইলে জওয়ানরা নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দেন। অন্যদিকে, আরেক মহিলাকেও বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। বুথ থেকে একশো মিটার দূরে একই পরিবারের দুই মহিলাকে বাড়ি চলে যেতে বলেন একদল বিজেপি কর্মী। এরপরই গোবিন্দ মণ্ডল নামের এক বিজেপি কর্মী এক মহিলার হাত ধরে টানেন বলেও অভিযোগ। আবার, ভোট দিতে যাওয়ার অপরাধে এক মহিলাকে বাঁশ দিয়ে পেটানোরও অভিযোগও উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, যেহেতু ওই এলাকায় সবাই তৃণমূলের ভোটার তাই গোটা এলাকাতে বিজেপির তরফে বারবার হুমকি ও শাসাচ্ছে গেরুয়া শিবির, এদিন সংবাদমাধ্যমের কাছে এমনই অভিযোগ করেছে ওই এলাকার বাসিন্দারা। বাড়ির বাইরে বোম মারার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। ভোট দিতে যেতে না পারায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন গাজিপুরের বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের আধিকারিকরা গেলেও ভয়ে ভোট দিতে যেতে চাইছেন না ওই গ্রামের ভোটাররা। তাদের দাবি ভোট দিতে গেলে সবাই বাড়ি আগুন লাগিয়ে দেবে কিংবা ভেঙ্গে দেওয়া হবে। অভিযোগ পাওয়ার পর এখন ভোট দিতে যাওয়ার পথে মাঝ রাস্তায় কাউকে যাতে বাধা না দেওয়া হয় সেদিকে নজর রাখছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর একাংশ।