ভোটের হারে গড়মিল! এবার কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল খোদ কমিশনেরই রিপোর্ট। আর সেই রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই টুইটের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। কীভাবে মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে প্রদত্ত ভোটের হার কমে অর্ধেক হয়ে গেল, তার জবাব দিতে ইতিমধ্যেই অনুসন্ধানে নেমেছে কমিশনও।
প্রসঙ্গত, ঘটনার নেপথ্যে কমিশনের দুটি রিপোর্ট যা চলে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। সকাল ৯টা বেজে ১৩ মিনিটে কমিশনের ভোটিং অ্যাপে যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে কাঁথি উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রদত্ত ভোটের হার ১৮.৯৫ শতাংশ। আবার কাঁথি দক্ষিন বিধানসভা কেন্দ্রে প্রদত্ত ভোটের হার ১৮.৪৭ শতাংশ। অথচ এর মাত্র ৪-৫ মিনিট বাদেই অ্যাপের তথ্য বলছে উত্তর কাঁথিতে ভোট দানের প্রদত্ত হার ৯.৪০ শতাংশ ও দক্ষিণ কাঁথিতে তা ১০.৬০ শতাংশ।
ভোটের হার নিয়ে কমিশনের এই ভূমিকায় বেজায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল। কমিশনের তথ্যকে হাতিয়ার করেই টুইটারে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তাদের দাবি, মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে কীভাবে ভোট দানের হার কমে অর্ধেক হয়ে যায়? কীভাবে সেটা সম্ভব? টুইটে তৃণমূল সরাসরি এই প্রশ্ন তুলেছে যে, ‘এটা কী হচ্ছে মাননীয় নির্বাচন কমিশন?’
শুধু তাই নয়। এই অভিযোগও উঠছে যে বিজেপির হয়ে ভোট করাচ্ছে সিআরপিএফ। বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামের মোট ১৫ টি কেন্দ্রে আধাসামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগে সরব তৃণমূল। জানা গিয়েছে, অভিযোগ নিয়ে আজই দিল্লী যাচ্ছেন দলের ১০ সাংসদ।