আজ রাজ্যের ৩০টি আসনে শুরু হয়েছে প্রথম দফার নির্বাচন। এমতাবস্থায় ফের বিতর্ক দানা বাঁধল বিজেপিকে ঘিরে। নন্দীগ্রামে বিজেপির হার কী নিশ্চিত? এই সম্ভাবনাকে নিয়েই জল্পনা উস্কে দিলেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও ইস্পাতমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। আজ বিডিওকে অন্য ঘরে বসিয়ে নন্দীগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক হেমেন দাশের সঙ্গে একান্তে সাক্ষাৎ করলেন তিনি, জানাচ্ছে সূত্র। সাক্ষাৎটি হয় নন্দীগ্রাম ১-এর বিডিওর দফতরে, যেখানে বিডিওকে বাইরে রেখে তার ঘরেই চলে শলাপরামর্শ। উল্লেখ করা যেতে পারে, এই দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকের জন্য কিন্তু আলাদা ঘরের ব্যবস্থা আছে।
নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল তিনি রাজ্যের নানান আধিকারিকের হঠাৎ হঠাৎ করে বদলির ব্যাপারে মুখ খুলেছিলেন। তারপরেই নন্দীগ্রামের বিডিওকে এরকম ভাবে হেনস্থা করা। অনেকেই মনে করছেন যে এই দুই ঘটনার যোগ থাকলেও থাকতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে নন্দীগ্রামের প্রার্থী ঘোষণা করার পর থেকেই একের পর এক আক্রমণ করা হচ্ছিল তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ওপর। তারপর মমতা আহত হবার পর, নির্বাচন কমিশনে ভুয়ো কাগজপত্র নিয়ে অভিযোগ ও জানাতে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। গতকাল আগ্নেয়াস্ত্র সহ প্রায় ৩০ জন বহিরাগত ধরা পড়েছে কাঁথিতে। মনে করা হচ্ছে এরা বিজেপির মদতেই অশান্তি ছড়াতে এলাকায় প্রবেশ করেছিল। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি হার নিশ্চিত জেনেই এখানকার নির্বাচন ভন্ডুল করার চেষ্টা করছে বিজেপি? উঠছে প্রশ্ন।