গত ১০ই মার্চ নন্দীগ্রামে আক্রান্ত হওয়ার পরে মমতার পায়ে প্লাস্টার করা হয়েছে। সেই অবস্থাতেই হুইলচেয়ারে ঘুরে ঘুরে প্রচার করছেন তিনি। প্লাস্টার-করা বাঁ-পা হুইলচেয়ারের একটি পাদানির ওপর রেখেই বক্তৃতা করছেন। আর তা নিয়েই মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘শাড়ি ছেড়ে বারমুডা পরুন দিদি!’ স্বাভাবিকভাবেই দিলীপের এই মন্তব্যের পর শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। তৃণমূল থেকে শুরু বিভিন্ন মহল থেকে এর তীব্র নিন্দা করা হয়। কিন্তু নিজের মন্তব্যেই অনড় রইলেন দিলীপ। গতকাল তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। একজন মহিলা। আমরা তাঁর কাছ থেকে এরকম শালীনতা আশা করব যা আমাদের বাংলার সংস্কৃতির পরিচায়ক। একজন মহিলা শাড়ি পরেছেন, আর বারবার পা বের করে দেখাচ্ছেন। এটা শালীনতা নয়। আমি এর প্রতিবাদ করেছি। আমাদের মহিলারাও একই কথা বলছেন।’
প্রসঙ্গত, পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে দলীয় প্রার্থীর হয়ে সভা করছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই তাঁর আক্রমণের বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে মুখ্যমন্ত্রীর ভাঙা পা। মমতার হুইলচেয়ারে করে প্রচার, এক পায়ে প্লাস্টার বাঁধা অবস্থায় প্রচার করাকে নাটক বলে দাবি করেন তিনি। সেই কটাক্ষের সূত্রেই মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘প্লাস্টার কাটা হয়ে গেল। ফের ব্যান্ডেজ বাধা হয়ে গিয়েছে। আর পা তুলে তুলে সবাইকে দেখাচ্ছেন। শাড়ি পরে এসে একটা পা ঢাকা। একটা খোলা। এমন শাড়ি পরতে দেখিনি। যদি পা’টা বের করে রাখতে পারেন, তাহলে শাড়ি কেন বারমুডা পরলেই পারেন! পরিষ্কার দেখা যায়। কত নাটক আর দেখব।’ অর্থাৎ দিলীপ স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী তথা একজন মহিলার প্রতি ওই ধরনের মন্তব্যের জন্য তিনি অনুতপ্ত তো ননই, বরং তাঁর কাছে মমতার পায়ের জখম আসলে ‘নাটক’ ছাড়া আর কিছু নয়।