গত ১০ই মার্চ নন্দীগ্রামে আক্রান্ত হওয়ার পরে মমতার পায়ে প্লাস্টার করা হয়েছে। সেই অবস্থাতেই হুইলচেয়ারে ঘুরে ঘুরে প্রচার করছেন তিনি। প্লাস্টার-করা বাঁ-পা হুইলচেয়ারের একটি পাদানির ওপর রেখেই বক্তৃতা করছেন। আর তা নিয়েই মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘শাড়ি ছেড়ে বারমুডা পরুন দিদি!’ স্বাভাবিকভাবেই দিলীপের ওই মন্তব্যের পর উঠেছে প্রবল নিন্দার ঝড়। কিন্তু তাতেও কুছ পরোয়া নহি। নিজের মন্তব্যে অনড়ই রইলেন তিনি। বৃহস্পতিবার খড়গপুরে শহরে দলীয় কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন, ‘শাড়ি পরে একজন মহিলা বারবার পা দেখাবেন, এটা আমাদের কাছে দৃষ্টিকটূ লেগেছে। আমি তার প্রতিবাদ করেছি। যেটা বলেছি, সেটা পরিষ্কার করে বলেছি। আর আমাদের মহিলারা বলছেন, এটা ভাল লাগছে না। সাধারণ মানুষেরও ভাল লাগছে না।’
প্রসঙ্গত, আগামী ২৭ তারিখ রাজ্যে প্রথম দফায় ভোট। ভোট হবে জঙ্গলমহলের চার জেলায়। খড়গপুরেও ওইদিন ভোট। তার আগে শেষমুহূর্তে দলের কর্মী, সমর্থকদের ‘লাস্ট মিনিটস সাজেশন’ দিতে বৃহস্পতিবার খড়গপুর শহরে গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। দলীয় কর্মসূচী শেষে তিনি সাংবাদিকদের মুথোমুখি হন। তখনই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের যে সমালোচনা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চান সাংবাদিকরা। তিনি সটান উত্তর দেন, ‘প্রতিবাদ করেছি। যা বলেছি, পরিষ্কার করে বলেছি। উনি শাড়ি পরে পা বের করে দেখাবেন, এটা অনেক মহিলার কাছেও দৃষ্টিকটূ লেগেছে। তাই বলেছি।’ অর্থাৎ দিলীপ স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী তথা একজন মহিলার প্রতি ওই ধরনের মন্তব্যের জন্য তিনি অনুতপ্ত তো ননই, উলটে এই মন্তব্যই যথাযথ ‘প্রতিবাদ’ বলে মনে করছেন তিনি।