কথাবার্তা শেষ। এবার যুদ্ধ। বৃহস্পতিবার শেষ হল আসাম ভোটের প্রথম দফার প্রচার। আগামী শনিবার রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন। ১২৬ আসনের বিধানসভায় ভোট হতে চলেছে ৪৭টি কেন্দ্রে। ইভিএমে বোতাম টেপার আগে মুখ্যমন্ত্রী ইস্যুতে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার মন্তব্য ঘিরে শুরু জল্পনা।
‘প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যদি লবি করে মনে করেন, তিনি রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা হলে তিনি ভুল ভাবছেন। কারণ, বিজেপি কোনও লবিতে বিশ্বাস করে না। ভোটে জিতলে আসামের মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি’। হিমন্তের এই মন্তব্যে তৈরি হয়েছে জল্পনা। কারণ, বাংলার মতোই আসামে ভোটে জিতলে কাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে, তা এখনও স্পষ্ট করেনি বিজেপি। তাই রাজনৈতিক মহলের দাবি, নাম না করলেও ঠারেঠোরে হিমন্তের নিশানায় যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল, তা কার্যত স্পষ্ট।
বাংলার মতোই অসমেও বিজেপিকে টার্গেট ঠিক করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বঙ্গে ২০০ হলে, এ রাজ্যে বিজেপির মিশন ১০০। প্রথম দফার ভোটের আগেই রাজ্যে ফের বিজেপির সরকার গঠনের ইঙ্গিত মিলেছে এক জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেলের জনমত সমীক্ষা থেকে। তবে, ওই জনমত সমীক্ষার প্রকাশিত ফলে আসামে তিন অঙ্ক থেকে অনেক দূরেই গেরুয়া শিবির। এই সব সমীক্ষা নিয়ে অবশ্য চিন্তিত নয় রাজ্য বিজেপি। বরং আত্মবিশ্বাসী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বেঁধে দেওয়া টার্গেটের থেকে অনেক বেশি আসন পাবে তারা। নির্মূল হয়ে যাবে বিরোধী কংগ্রেস ও তার সঙ্গী জোট। উজান,উত্তর ও মধ্য আসাম। মূলত প্রথম দফায় শনিবার ভোট হতে চলেছে রাজ্যের এই তিন অংশে। যেখানে সবার নজর শুধুমাত্র মাজুলির দিকেই। এই কেন্দ্রেই প্রার্থী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। জোরহাট থেকে প্রার্থী হয়েছেন আসাম বিধানসভার অধ্যক্ষ হিতেন্দ্রনাথ গোস্বামী। প্রথম দফায় হেভিওয়েট তালিকায় নাম আছে অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বোরার।