দাসপুরের নির্বাচনী সভা থেকে ফের বিজেপিকে তুলোধোনা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিনরাজ্যের পুলিশ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বললেন, ‘খাবারে বিষ মিশিয়ে দিতে পারে’। ‘মীরজাফর’ বলে কটাক্ষ করলেন অধিকারীদের।
বঙ্গে ভোটযুদ্ধ শুরুর আর মাত্র কয়েকঘণ্টা বাকি। প্রথম দফায় ৩০টি আসনে নির্বাচন। দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ ১ এপ্রিল। ওইদিনও ৩০টি আসনে ভোট। তার মধ্যে রয়েছে দাসপুর। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরে নির্বাচনী জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে ফের ভিনরাজ্যের পুলিশ অর্থাৎ কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তৃণমূল কর্মীদের সতর্ক করে বলেন, ‘ভোটগ্রহণের দিন সকলে সতর্ক থাকবেন। মনে রাখবেন, ওই দিন শুধু আমাদের পুলিশ থাকবে তেমন নয়। অন্য রাজ্যের পুলিশও থাকবে। তাই কেউ যদি আপনাদের বলে তারা মেশিন পাহারা দেবে, একদম তা শুনে চলে যাবেন না। ওরা বিরিয়ানি দিলেও খাবেন না। ওরা সব পারে, খাবারে বিষ বা মাদক মিশিয়ে দেবে। তারপর মেশিন নিয়ে পালাবে’।
বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বলেন, ‘ওরা সোনার বাংলার বলতে পারে না। সুনার বাংলা তৈরি করবে। বিরসা মুণ্ডার ছবি বলে অন্যের ছবিতে মালা দিয়ে যাচ্ছেন। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান না হলে মোদীর অফিসের সামনে ধর্ণা দেব। টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই টাকা চুরির গোঁসাই। দাঁড়ি থাকলেই রবীন্দ্রনাথ হয় না। রবীন্দ্রনাথে দাড়ির স্টাইল আলাদা’।
এদিন বিজেপিকে ‘শয়তানের দল’ বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, ‘ওই শয়তানের দল নারী বিদ্বেষী, কৃষক বিদ্বেষী, উন্নয়ন বিদ্বেষী’। এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কাল রাতে কাঁথি বাসস্ট্যান্ড থেকে উত্তরপ্রদেশের ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই মীরজাফররা ওদের এনেছে। কিন্তু এসব করে কোনও লাভ হবে না। নন্দীগ্রাম, কাঁথি কোথাও কোনও অশান্তি করতে দেব না’। তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন, ২৮ মার্চ থেকে নন্দীগ্রামেই থাকবেন তিনি। সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে মমতা এদিন আবারও বললেন, “কেউ গুন্ডামি করার চেষ্টা করলে হাতা-খুন্তি, বঁটি নিয়ে তেড়ে যান’। উল্লেখ্য, বিজেপি ও পুলিশকে আক্রমণের পাশাপাশি এদিন রাজ্যের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা আমজনতাকে মনে করিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশে ক্ষমতায় এলে প্রত্যেকের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।