বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে নির্বাচনী বিধি ভেঙে উচ্ছেদের নোটিস পাঠাচ্ছে রেল। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের বিরুদ্ধে কমিশনের দ্বারস্থ হয় সিপিএম। আর তারপরই অভিযোগের সত্যতা পেয়ে রেলকে দ্রুত এই ধরনের কাজ থেকে বিরত হওয়ার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। দুর্গাপুরের গ্যামন ব্রিজ সংলগ্ন ডিপিএল কলোনি এলাকায় এই ধরনের নোটিস নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। এবার কমিশনের পদক্ষেপে প্রশ্নের মুখে রেলের ভূমিকা।
আবার দুর্গাপুরের বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ হলেও আসানসোলেও একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের মোদী সরকার ও বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, কমিশনের পদক্ষেপ থেকেই পরিষ্কার কোনও এক বিশেষ দলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে নির্বাচনী বিধি ভাঙছে রেল। কিছুদিন আগেই রেলমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার উচ্ছেদ রাজনীতি নিয়েও কাঠগড়ায় রেলের ভূমিকা। বিরোধীদের দাবি, ভোটের মুখে মানুষে মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে বিজেপি আনুগত্য নেওয়ার জন্যই এই পরিকল্পনা।
জেলা এমসিসি (মডেল কোড অব কনডাক্ট) সেলের আধিকারিক তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন, নির্বাচনী বিধি ভেঙে উচ্ছেদের নোটিস দেওয়ার সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। রেলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্যামন ব্রিজ সংলগ্ন ডিপিএল কলোনি লাগোয়া একটি এলাকায় ৪৮টি পরিবার বসবাস করে। প্রায় ৭০ বছর ধরে সেখানে তাঁরা বসবাস করছে। তবে গত ১৩ মার্চ হঠাতই ওই ৪৮ পরিবারকে উচ্ছেদ নোটিস দেয় রেল। তাতে বলা হয়, এর আগে তাঁদের ব্যবহৃত জমির কাগজ দেখাতে হবে, না হলে ২৯ মার্চের মধ্যে জায়গা ছাড়তে হবে।