যুযুধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বাকযুদ্ধে বাড়ছে বঙ্গ ভোটের উত্তাপ। এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নজিরবিহীন আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার নির্বাচনী সভা থেকে অমিত শাহর নাম না করে তাঁর কড়া মন্তব্য, ‘দিল্লীর এক হোঁদল কুতকুতে মন্ত্রী আছে, বলছে, বাংলাকে দেখে নেবে। কী দেখবে? রাক্ষস নাকি যে বাংলাকে গিলে খাবে? মমতাকে গিলে খাবে? জেনে রাখো, আমাকে গিলে খেয়ে নিলেও পেট ফুঁড়ে বেরিয়ে আসব’।
শনিবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়ে যাচ্ছে ভোটযুদ্ধ। জঙ্গলমহলের চার জেলায় ভোট ওইদিন। এরপর ১ এপ্রিল পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ আরও বেশ কয়েকটি আসনে। চলছে শেষমুহূর্তের প্রস্তুতি। প্রচারে একে অপরের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে শান দিচ্ছে। বিশেষত বিজেপি এবং তৃণমূলের বাকযুদ্ধে প্রতি মুহূর্তে তাপ বাড়ছে বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে পায়ে চোট নিয়ে প্রতিদিন একাধিক জনসভা করছেন। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি আরও সুর চড়ালেন। বললেন, ‘দিল্লীকে বলছি, বেশি বাঁদরামি না করে বাংলার যা বকেয়া আছে, তা মিটিয়ে দিন। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বহুবার বলছি। ওটা করে না দিলে আমি দরকারে নরেন্দ্র মোদীর অফিসের সামনে ধর্না দেব’।
এদিন দাসপুর, চন্দ্রকোনার পর ডেবরার সভা থেকেও তৃণমূল সুপ্রিমো একইভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ শানান। মেদিনীপুরের মাটিতে তৃণমূল ও বিজেপি প্রায় সমানে সমানে টক্কর। উনিশের লোকসভার ফলাফলের নিরিখে বিজেপি খানিকটা এগিয়েই। তবে বিধানসভা ভোটের হিসেব অন্য। এখানে সরাসরি কাজের ভিত্তিতেই জনমত দেবেন বাসিন্দারা। গত ১০ বছরের তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের নিরিখে কতটা এগিয়ে মেদিনীপুর, তা বোঝাতেই ব্যস্ত দলীয় নেতৃত্ব। এখন জনরায় কোন দিকে যাবে, তা বোঝা যাবে আগামী ২ মে।